ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শাহীনুর আক্তার জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি যে কোনো প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালে বিচারের সন্তুষ্ট না হলে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল ২৫ হাজার ৭৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৩৯ ভোট।
সরকারি মুদ্রণালয় জানিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর এই নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, নির্বাচনে মেয়র পদে চার জন, সংরক্ষিত আসনে ১৯ জন ও কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।
এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণের প্রমাণ পাওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল ও নির্বাচন স্থগিত করে দেশব্যাপী আলোচনায় জন্ম দিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। যদিও আদালত থেকে ইসির সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ এনে নির্বাচনের অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
ইইউডি/এসএ