ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প প্রস্তাবে গুদাম (ওয়্যারহাউস) তৈরির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৩ কোটি টাকা। ১০টি অঞ্চলে গুদামগুলো তৈরি করা হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
'নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটির মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। পাঁচ বছর সময় ধরে প্রকল্পটির মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০২৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে- ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে আনুমানিক ২৫ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। আগের প্রকল্পের দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ইভিএম সচল আছে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লাখ ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এজন্য ১০টি গুদামের প্রতিটিতে ৩৭ কোটি টাকা করে, মোট ৩৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে ৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টার স্থাপন, গুদাম নির্মাণ, ইভিএম পরিবহন ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৫৪ কোটি টাকা।
এদিকে প্রশিক্ষণ ব্যয় ২০৫ কোটি টাকা, প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ব্যয় ৬৯০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রতি ইভিএম কেনার জন্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা।
ইভিএম কেনা হবে দুই লাখ, পাঁচ শতাধিক পিকআপ ভ্যান, সিসি ক্যামেরা, কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি খাতে ওই আট হাজার ৭১১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমাদের প্রকল্প প্রস্তাবটি যদি অনুমোদন করার মতো মনে করে পরিকল্পনা কমিশন তবে আমরা নতুন করে ইভিএম কিনতে পারবো। অন্যথায় আমাদের কাছে বর্তমানে যেসব মেশিন আছে, তা দিয়ে যতগুলো আসনে নির্বাচন করা যাবে, ততগুলোতেই করবো। এছাড়া পরিকল্পনা কমিশন যদি আগামী জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না করে তাহলে আর ১৫০ আসনে ভোট করতে পারবো না। কারণ তখন যে সময় থাকবে তাতে সব কাজ গুছিয়ে আনা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস