গোলাপগঞ্জ, সিলেট থেকে: ‘লাখ লাখ টেকার ভুট এক হাজার টেকায় বেচিয়া কতদিন খাইবা?’ সঙ্গে থাকা পাঞ্জাবি-লুঙ্গি পড়া সমবয়সীকে প্রশ্ন করতে করতে চা-দোকানে ঢুকলেন স্যুট-বুট পরা ভদ্রলোক। বয়স ষাটের কোঠায়।
চেয়ারে বসে দু’জনেই পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আলাপ করতে থাকলেন। আলাপ করতে থাকলেন এবারের নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষ-লাঙল কোন দিকের পাল্লা ভারী তা নিয়ে।
ভদ্রলোক বলতে থাকলেন, ‘ভুট দিতে বিবেচনা করা দরকার। ’ তাদের আলাপে দৃষ্টি দিতেই ভদ্রলোকের গলার স্বর চওড়া হয়ে গেল। জোরে জোরেই বলতে থাকলেন, ‘ইবার কড়া লড়াই অইবো। ’
পরিচয় দিয়ে পৌরসভা নির্বাচনের হাল-হকিকত নিয়ে আলাপ করলে তার নাম বলেন, এ এস মালেক। বলতে থাকেন, ‘গোলাপগঞ্জ শান্তিপূর্ণ জাগা (জায়গা)। ইকানর (এখানকার) মানুষ শান্তি ভালোবাসে। ইকান কুনো ঝামেলা অইতো নায় (না)। ’
তার কথায় সায় দিচ্ছিলেন সঙ্গে আসা ভদ্রলোকও। তবে আলাপ জমতেই বেরিয়ে যান তিনি। এবার চেয়ারে পায়ের ওপর পা পেতে আরাম করে বসে কথার ঝাঁপি খুলে বসেন এ এস মালেক। ‘দেশও (দেশে) পয়সার রাজনীতি চলে। তবে, ইকান ইতা অইতো নায় মনে হয়। যে ভালা করবো তারেই ভুট দেওয়া অইবো। ’
তার পেছনের সিটে গোলাপগঞ্জের শান্তিপ্রেমের পক্ষে সায় দিচ্ছিলেন চা-নাস্তা করতে আসা আরও ক’জন।
এ এস মালেক পরামর্শ দেন, নির্বাচনের ফল দিনেই কেন্দ্রে দিয়ে দিলে কোনো কারচুপির সুযোগ থাকবে না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সেভাবেই নির্দেশনা দিতে হবে।
এতোক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকের মতো আলাপ করলেও এবার নিজের পরিচয় দেন এ এস মালেক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের উপজেলা সেক্রেটারি। পরিচয় দিয়েই হনহন করে বেরিয়ে যান এ এস মালেক।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এইচএ/জেডএস
** এখানে কুনো ভুটো কারচুপি অইছে না
** ডিজিটাল রেল, সময়ানুবর্তী রেল