খুলনা: কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খুলনা জেলার চালনা ও পাইকগাছা পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। তবে শীতের কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম।
পাইকগাছা পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান সকাল ৮টা ৭ মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং অফিসার মৃণাল কান্তি দে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, দাকোপে সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা ও দাকোপের চালনা পৌরসভায় প্রার্থীর সংখ্যা ৮৭। এর মধ্যে মেয়র পদে ছয়, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৮ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন।
পাইকগাছা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিম জাহাঙ্গীরের প্রতীক নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিএম আব্দুস সাত্তারের প্রতীক ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ গাজীর প্রতীক নারকেল গাছ।
এ পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে, চালনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সনৎ কুমার বিশ্বাসের প্রতীক নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ আব্দুল মান্নানের প্রতীক ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলের নির্বাচনী প্রতীক জগ। এ পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ছয় প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন।
১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় পাইকগাছা পৌরসভা।
বর্তমানে পৌরসভার মোট ভোটার ১২ হাজার ৫৪৬ জন। অপরদিকে, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর চালনা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। এ পৌরসভার আয়তন ৯ দশমিক ৪৫ বর্গকিলোমিটার। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ হাজার ৬১৩।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমআরএম/এসআই