ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ ‘অনিরাপদ’। সেখানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে পুলিশের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি বলেছেন, পৌর নির্বাচনে উত্তরবঙ্গই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় জঙ্গি হামলা বেড়ে গেছে। এদের তৎপরতা আরও বাড়তে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমনি দাবি করে তিনি আরও সোচ্চার হওয়ার জন্য নির্দেশনা চেয়েছেন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজির আহমেদ বলেন, সহিংসতাবাদীরা লোক-সমাগম বেশি এমন জায়গায় আক্রমণের টার্গেট করে। এক্ষেত্রে র্যাব সব সময় সজাগ থাকবে। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হবে। কোনো ঘটনা ঘটলেই যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য তৎপরতা জোরদার করা হবে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) এক পরিচালক বলেন, দলগুলোর আন্তঃকোন্দল নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য বাধা।
এছাড়া, কালো টাকার প্রভাবও নির্বাচনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
পুলশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আচরণবিধি যথাযথভাবে মানতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির প্রতি জোর দেন।
বৈঠকে বৃদ্ধ, নারী ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভয়ভীতি দূর করার প্রতিও জোর দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি বাহিনী বেশি পরিমাণে ফোর্স মোতায়েনে গুরুত্ব দেয়।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কিছুটা ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ফোর্স বাড়িয়ে দিয়ে লাভ কী? আপনারা যদি অ্যাকশন নিতে দেরি করেন? তাই
রেসপন্সিভ টাইম কমাতে হবে। ঘটনা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিতে হবে। কোনো ভোটকেন্দ্রই যেন দখল না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিরাপদ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনে পূর্ণ শৃঙ্খলা থাকবে। তাই সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সিইসির সভাপতিত্বে বিয়াম মিলনায়তনে বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ২টার দিকে শেষ হয়। এতে বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, কোস্টগার্ডের ডিডিজি কমোডর ইয়াহইয়া সৈয়দ বিএন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাখাল চন্দ্র বর্মন, আনসার ও ভিডিপির ডিজি মেজর জেনারেল মো. নাজিম উদ্দীন, অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীসহ রিটার্নিং কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে ৯২৩ জন ও কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার ১২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
ইইউডি/টিআই/এএসআর
** কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে-সমান
** মানিকগঞ্জকে বদলে দিতে চান সেলিম
** এখনো ফ্রি হয়নি ভোটের চা-পানি
** হিসাব-নিকাশ ‘নীরব’ ভোটারদের হাতে
** নিজের পছন্দে ভোট দিতে চান নারীরা
** ধানের শীষের ভোট আছে, গ্যারান্টি নাই
** নির্বাচনী হাওয়া লাগেনি সাভারে