সিলেট: সিলেট বিভাগের ১৬ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় নেমেছে বিএনপির নির্বাচনী টিম। এই ষোলটি দলের সদস্যরা প্রতিটি পৌরসভায় দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ-পথসভায় অংশ নিচ্ছেন।
সিলেট বিভাগীয় মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলানিউজকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছন। তিনি বলেন, শনিবার থেকে প্রচার কমিটির মাঠমুখী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় থাকবেন।
মনিটরিং দলের সদস্যরা নির্বাচনী মাঠে নামায় দলীয় কোন্দল প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি দল সমর্থিত প্রার্থীর অবস্থান দিন দিন ভাল হচ্ছে- এমন দাবি বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীর।
ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন আরও জানান, ১৮ সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং টিমের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি (ডা. জীবন)।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা এরই মধ্যে সিলেটের ৫টি (হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুর ও নবীগঞ্জ) পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নিজের অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, পর্যায়ক্রমে ষোলটি পৌরসভায় তিনি প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করবেন।
এর মধ্যে ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ ও দিরাই, ২২ ডিসেম্বর ছাতক ও জগন্নাথপুর, ২৩ ও ২৪ সিলেটের গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ এবং ২৭ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের চারটি পৌরসভায় দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাবেন।
এদিকে, ১৬টি প্রচার টিমের মধ্যে নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির প্রথম সদস্য তাহসিনা রুশদীর লোনার নেতৃত্বে একটি দল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভায় দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেছেন। তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মি আক্তার, নাছির চৌধুরী।
দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ডা. জীবন বলেন, তিন পৌরসভা ছাড়া সবগুলোতেই দলের একক প্রার্থী নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শুধুমাত্র শায়েস্তাগঞ্জ, বড়লেখা, কমলগঞ্জ পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে। যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। সে কারণে প্রচারণায় তাদেরকে নিবৃত্ত থাকতে বলা হয়েছে। এরপরও কেউ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
ষোল মনিটরিং দলে আছেন- সিলেটে শফি আহমদ চৌধুরী, দিলদার হোসেন সেলিম, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, এমএহক, আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কাহের শামীম, বদরুজ্জামান সেলিম, আব্দুল মান্নান, সামিয়া চৌধুরী, মামুনুর রশিদ, শরমন আলী, সালেহ আহমদ খসরু, মিসেস জাহানারা ইয়াসমিন। মৌলভীবাজারে খালেদা রাব্বানী, অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী,নাসের রহমান।
সুনামগঞ্জে অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আসপিয়া, কলিম উদ্দিন মিলন,ডা. রফিক আহমদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, তাহসীনা রুশদীর লুনা। হবিগঞ্জে শাম্মী আক্তার, শেখ সুজাত মিয়া, মিসেস রেহানা বেগম হাছনা।
এছাড়াও চার জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, সদস্য সচিবকে কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এনইউ/আরআই