কাহালু থেকে ফিরে: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে বগুড়া কাহালু পৌরসভা নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে ফেলা হয়েছে পোস্টারে পোস্টারে। প্রার্থীর প্রতীক সম্বলিত সাদা-কালো রংয়ের এসব পোস্টার পলিথিনে মুড়িয়ে পাট বা প্লাস্টিকের দড়ির সঙ্গে সারিবদ্ধভাবে লাগিয়ে জনসমাগম বেষ্টিত এলাকাগুলোতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনরাত ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ব্যতিক্রম স্বতন্ত্র ব্যানারে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম বাদশার বেলায়। অসংখ্য স্থানে তার নারিকেল গাছ প্রতীক সম্বলিত পোস্টার দেখা গেলেও অন্তত শহর এলাকায় তার পক্ষে ভোট প্রার্থনাকারীদের দেখা মেলেনি।
তিনি কারাগারে বসে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। ফলে তার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পোস্টারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আর এর ফলাফল কী দাঁড়ায় -তা দেখতে শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।
শনিবার (১৯ডিসেম্বর) বগুড়ার কাহালু পৌরসভার নির্বাচনী হালচাল সম্পর্কে জানতে সরেজমিনে গেলে বাংলানিউজের ক্যামেরায় জামায়াত সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর এ দৃশ্য ওঠে আসে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার মহিলারা কাউন্সিলর পদে আঙ্গুর, কাঁচি, গ্যাসের চুলা, চকলেট, চুড়ি, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, হারমোনিয়াম প্রতীক এবং পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থীরা পাঞ্জাবি, পানির বোতল, ফাইল কেবিনেট, ব্রিজ, ব্ল্যাক বোর্ড, স্ক্র ড্রাইভার, উটপাখি, গাজর, টিউব লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ডালিম ও ঢেঁড়শ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, এই পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ নৌকা প্রতীক, বিএনপির দলীয় প্রার্থী আব্দুল মান্নান ধানের শীষ প্রতীক ও স্বতন্ত্র ব্যানারে জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলাম বাদশা নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত ৩টিসহ মোট ১২টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে মোট ৯জন ও পুরুষ কাউন্সিলর পদে মোট ২৯জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই পৌরসভায় মোট ৯ হাজার ৮৩৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৮৫৩জন ও মহিলা ভোটার ৪হাজার ৯৮১জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯টি। কক্ষের সংখ্যা ৩১টি। অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২টি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এমবিএইচ/আরআই