দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হতে পারলেন না নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটের জন্য তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিল না।
মিশা সওদাগর পরিষদের ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদ হারালেন তিনি।
জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও ফুলের মালা ঠিকই শোভা পেয়েছে নিপুণের গলায়। আর এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেল ডিপজলকেই।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।
এতে দেখা যায় মিশা-ডিপজল পরিষদের জয়জয়কার। নিপুণের সঙ্গে হেরে গেছেন তার পরিষদের সভাপতিপ্রার্থী মাহমুদ কলিও।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই প্রথমে নিপুণ আক্তার বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন।
আর সেই মালা খুলে নিপুণের গলায় পরিয়ে দেন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় নিপুণের প্রশংসা করে মিশা সওদাগর বলেন, নিপুণ আজ যা করেছে তা নজির হয়ে থাকবে। শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নামে মাত্র একটি নির্বাচন। সত্যিকার অর্থে আমরা এক পরিবার। আমরা মিলেমিশে একটা শিল্পী সমিতি করব।
এর আগে ডিপজলের কাছে হেরে নিপুণ বলেছিলেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াব, খুব বেশি হলে ৫০টা ভোট পাব। ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৭ ভোটে হারব সত্যিই সেটা আমি চিন্তাও করিনি। শিল্পীরা যে আমাকে ভালোবাসে সেটা আবারও প্রমাণ পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে। অপরদিকে মাহমুদ কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে মাত্র তিনজন জয়লাভ করেছেন।
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
শনিবার সকালে ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর মোট ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ২০৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার।
এর আগে ১৯ এপ্রিল সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুরে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৪
এসএএইচ