রাজনীতির মঞ্চে নেমেই বাজিমাত করলেন কঙ্গনা রানাউত। হিমাচলে নিজের শহর মান্ডি থেকে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী হয়ে হারালেন কংগ্রেস প্রার্থীকে।
তাই বলিউড ‘ক্যুইন’ থেকে তিনি এখন ‘মান্ডি ক্যুইন’। হিমাচলবাসীরা এই মুহূর্তে এই নামেই সম্বোধন করছেন কঙ্গনাকে।
নির্বাচনে জিতেই মান্ডির জনগণকে কঙ্গনা বলেছেন, ‘আমি হিমাচলের মেয়ে। হিমাচল প্রদেশের উন্নতিই এখন আমার প্রধানধর্ম। তাই মান্ডিকে ছেড়ে মুম্বই ফিরছি না। ’
তার এমন বক্তব্যে এখন প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি অভিনয় ছাড়লেন এই বলিউড সুন্দরী। রুপালি পর্দায় কি আর তাকে দেখা যাবে না!
সে প্রশ্নের অবশ্যই উত্তর স্পষ্ট করেননি কঙ্গনা। শুধু জানিয়েছেন, রাজনীতি ছাড়া আপাতত কিছু ভাবতে চান না।
মঙ্গলবার ভোটে জেতার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, সেহেতু নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয় কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথানত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মান্ডিকন্যা, মান্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মান্ডির সেনা হিসেবে মান্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব। ’
এর আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়, যদি মাণ্ডি আসন থেকে তিনি জয়ী হন তাহলে কি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি ধীরে ধীরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে আসবেন?
জবাবে কঙ্গনার সাফ কথা, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। ’
তিনি এও বলেন, ‘একাধিক চলচ্চিত্রনির্মাতা আমাকে বলেছেন- আমি একজন ভালো অভিনেত্রী। আমি যেন অভিনয় না ছাড়ি। আমি ভালো অভিনয় করি ঠিকই। সবটাই আমি প্রশংসা হিসেবে নিই। ’
প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসনে নিকটতম প্রার্থী কংগ্রসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৬,২০২৪
এসএএইচ