বদলে গেছেন পরিণীতি চোপড়া! বদলেছে তার শারীরিক গড়ন। আগের মতো আর গোলগাল নেই তিনি।
‘লেডিস ভার্সেস রিকি বেল’ (২০১১) থেকে শুরু করে ‘ইশাকজাদে’ (২০১২), ‘শুধ দেশি রোম্যান্স’ (২০১৩), ‘হাসি তো ফাঁসি’, ‘দাওয়াত-এ-ইশক্’ ও ‘কিল দিল’ (২০১৪) ছবিতে যেমন দেখেছেন, সেই পরিণীতি নিজেকে আমূল পাল্টে ফেলেছেন। পাশের বাড়ির মেয়ের ভাবমূর্তিটা ঝেড়ে ফেললেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
ব্যায়াম করে শারীরিক গড়ন বদলে ফেলার কিছু স্থিরচিত্র গত ৯ ডিসেম্বর টুইটারে পোস্ট করেছেন পরিণীতি। সঙ্গে লিখেছেন, ‘চার বছর আগে বাচ্চাদের মতো গোলগাল একটা মেয়েকে দেখেছিলো সবাই। কিন্তু আমি যা হতে চাই, চার বছর পর সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। এখন নিজেকে দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। যাদের কাছে এই বদলে যাওয়া কঠিন মনে হবে, তারা আমাকে অনুসরণ করতে পারেন। সবার পক্ষেই এটা করা সম্ভব। আমি নিশ্চিত, আমার মতো অন্যরাও নিজেকে নতুনভাবে গড়ে নিতে পারেন। ’
পরিণীতির নতুন ছবিগুলো দেখে সোরগোল পড়ে গেছে টুইটারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো পরিণত হয় ট্রেন্ডিংয়ে। তার চাচাত বোন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেত্রী আথিয়া শেঠি, অদিতি রাও হায়দারি, কিয়ারা আদভানি, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা, বলিউড অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলি, মনীষ পাল, গায়ক-অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা, সংগীতশিল্পী বিশাল দাড়লানি, নৃত্য পরিচালক ফারাহ খান, উৎসাহিত করেছেন তাকে। তাকে এভাবে দেখাটা অবিশ্বাস্য লাগছে বলে মন্তব্য তাদের। প্রত্যেককেই ধন্যবাদ দিয়েছেন পরিণীতি।
এই তন্বী গড়ন ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও ঝরলো তার কণ্ঠে, ‘গত বছর খুব ব্যস্ত ছিলাম। এ কারণে নিজেকে সময় দিতে পারিনি। তবে গত কয়েক মাসে নিজেকে নিয়ে অনেক কাজ করেছি। স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক উপহাস সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। আমরা সবাই শুকিয়ে থাকতে চাই। কিন্তু এর চেয়েও জরুরি হলো ভেতর থেকে ফিট থাকা। আমি আনফিট ছিলাম, ওজনও ছিলো মাত্রাতিরিক্ত। কিন্তু এখন আমি অনেক ফিট। নতুন গড়ন নিয়ে আমি গর্বিত। ৯ মাস ধরে চেষ্টা করেছি, এখনও ব্যায়াম অব্যাহত রেখেছি। ’
এদিকে টানা দুটি ফ্লপ ছবি (দাওয়াত-এ-ইশ্ক, কিল দিল) হওয়ায় পরিণীতির হাতে এখন কোনো ছবি নেই। যুতসই চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় আছেন তিনি। সালমান খানের ‘সুলতান’ ছবিতে যুক্ত হওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও তিনি নিজেই তা অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
জেএইচ