হরিণ শিকার মামলায় বৃহস্পতিবার সাল্লুকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারিক আদালত। এরপর পুলিশ ওয়ারেন্ট ইস্যু করে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে যায়।
২০০৭ সালে একই মামলায় কয়েকদিনের জন্য সালমান খানকে কারাগারে থাকতে হয়েছিলো। তখন কারাগারের ভিআইপি সুবিধা ভোগ করেছিলেন ‘ভাইজান’। তবে এবার আর তেমনটি হচ্ছে না। অন্যসব সাধারণ কয়েদির মতোই একটি রাত পার করতে হয়েছে তাকে।
যোধপুর ডিআইজি (কারা) বিক্রম সিং বলেন, সালমান খানকে কয়েদি নম্বর ১০৬ দেওয়া হয়েছে এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। কারাগারে মেঝেতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন বলিউড ‘সুলতান’। ঘুমানোর জন্য কারা কর্তৃপক্ষ তাকে চারটি কম্বল দেয়।
সূত্র বলছে, সালমান খানের জন্য হোটেল থেকে রাতের খাবারে আনা হয়। কিন্তু ওই খাবার গ্রহণ করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগার থেকে ডাল, সবজি ও রুটি দেওয়া হলে সাল্লু তা গ্রহণ করেননি।
বিক্রম সিং জানান, সালমানের মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে, কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তিনি কারাগারে বাড়তি কোনো সুবিধা চাননি। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) তাকে কয়েদিদের পোশাক পরানো হবে। তার ওয়ার্ডে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সালমানের জামিনের জন্য দায়রা আদালতে বৃহস্পতিবারই আপিল করেছিলেন তার আইনজীবী। শুক্রবার এই আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৯৮ সালে সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির দৃশ্যধারণ চলাকালীন রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরের কাছে কঙ্কণী গ্রামে বিরল প্রজাতির দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। পরে ১৯৯৯ সালে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছিলো। চলতি বছরের ২৪ মার্চ দুই পক্ষের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ৫ এপ্রিল চূড়ান্ত রায় দেন আদালত। একই মামলার অন্য আসামি সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
জেআইএম/আরআর