যৌনতা ও লাম্পট্য উস্কে দেওয়ার অভিযোগে তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে। এ অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) একটি স্বচ্ছ লেস লাগানো কালো কাপড়ের পোশাক পরে রানিয়া ইউসেফ ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠেছিলেন। তখন তার অনাবৃত শরীরের অনেকটা অংশ দর্শকের দৃষ্টিগোচরে আসে। সেখানে উপস্থিত কিছু চলচ্চিত্র শিল্পীর পাশাপাশি সাধারণ দর্শকরা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। এছাড়া তার এমন উপস্থিতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাত্ক্ষণিক বিতর্ক সৃষ্টি করে।
রানিয়ার এমন কর্মকাণ্ড মিশরের বিপুল সংখ্যক জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এরপর আমরো আবদেলসালাম এবং সামির সাবরি নামে দুইজন আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
আইনজীবী সাবরি বলেন, ইউসেফের পোশাক পরার ধরন সামাজিক মূল্যবোধ, ঐতিহ্য ও নৈতিকতার পরিপন্থী ছিল। বরং এর কারণে মিশরের চলচ্চিত্র উৎসব ও নারীদের সুনাম নষ্ট হয়েছে।
তবে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ৪৪ বছরের রানিয়া ইউসেফ জানিয়েছেন, পোশাক নির্বাচন করতে গিয়ে তিনি সম্ভবত ভুল করেছিলেন। এ পোশাকটি নিয়ে এতো বিতর্ক তৈরি হবে জানলে তিনি তা পরতেন না।
আসছে জানুয়ারিতে ইউসেফের বিচার শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএমইউ/টিএ