শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) মঞ্জুর হোসেনের মরদেহ নেওয়া হয়। বাদ জোহর এফডিসির মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সে সময় এফডিসি প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, পরিচালক অপূর্ব রানা, ছটকু আহমেদ, স্বপন চৌধুরী, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চিত্রনায়ক আলমগীর, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু’সহ অনেকে। সবাই মঞ্জুর হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বাংলানিউজকে জানান, এফডিসি থেকে মঞ্জুর হোসেনের মরদেহ রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। মঞ্জুরের এক ছেলে দেশের বাইরে থেকে রোববার (০৯ ডিসেম্বর) দেশে আসবেন। এরপর ওইদিন রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এই প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতাকে।
শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বনানীতে ছেলের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মঞ্জুর হোসেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
মঞ্জুর হোসেনের জন্ম ১৯৩৭ সালে। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘রাজধানীর বুকে’। এরপর তিনি ‘হারানো দিন’, ‘ধারাপাত’, ‘সাত রং’, ‘তালাশ’, ‘শীত বিকেল’, ‘বন্ধন’, ‘মিলন’, ‘কাজল’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘কাঞ্চন মালা’, ‘ছোট ‘নয়ন তারা’, ‘তুম মেরে হো’, ‘কুলি’, ‘রূপবান’সহ অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
জেআইএম