ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

সালতামামি ২০১৮

না ফেরার দেশে যারা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
না ফেরার দেশে যারা না ফেরার দেশে যারা

এ বছর চলচ্চিত্র, সঙ্গীত ও নাটকের বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি তারকা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তাদেরকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান ছিলো পুরো শোবিজ অঙ্গন।

ঝরে পড়া প্রখ্যাত তারকাদের নিয়ে এ আয়োজন:

সিরাজ হায়দার
বছর শুরুতে বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সিরাজ হায়দার মৃত্যুবরণ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১১ জানুয়ারি ৭১ বছর বয়সে জনপ্রিয় এই অভিনেতা পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

শাম্মী আক্তার
ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৬ জানুয়ারি দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী শাম্মী আক্তার পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। ‘ঢাকা শহর আইসা আমার’খ্যাত এই গায়িকার বয়স হয়েছিলো ৬২ বছর। প্রায় তিন শতাধিক সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

কাজী আজিজ আহমেদ
‘চোখ যে মনের কথা বলে’ গানের গীতিকার কাজী আজিজ আহমেদ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা এবং পরিচালক ছিলেন। তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর।

আলী আকবর রুপু
২২ ফেব্রুয়ারি দেশের বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলী আকবর রুপু চলে যান না ফেরার দেশে। প্রায় দুই যুগ ধরে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র অসংখ্য গানের সুর করছিলেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

রানী সরকার
৮৬ বছর বয়সে ৭ জুলাই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন সত্তর দশকের জনপ্রিয় খল-অভিনেত্রী রানী সরকার। প্রায় আড়াইশ সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। রানী সরকার একসময় পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করলেও শেষ বয়সে এসে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।

আইয়ুব বাচ্চু
এ বছর বাংলা সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি, জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এলআরবি’র লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল আইয়ুব বাচ্চু না ফেরার দেশে চলে যান। ১৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আইয়ুব বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভোগেন।

আনোয়ার হোসেন
১ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলের কক্ষ থেকে প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

মঞ্জুর হোসেন
৭ ডিসেম্বর প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা মঞ্জুর হোসেন ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা পরিচালনা ও প্রযোজনা করতেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘রাজধানীর বুকে’।

আমজাদ হোসেন
১৪ ডিসেম্বর ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য তাকে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

সাইদুল আনাম টুটুল
লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান প্রখ্যাত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।