পাবনা শহরের গোপালপুরের হিমসাগরেই শৈশব কাটিয়েছেন সুচিত্রা সেন। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
যারা পাবনায় আসেন, তারা একটুখানি সময় করেই ঘুরে আসতে পারেন মহানায়িকা স্মৃতিবিজড়িত তার পারিবারিক বাড়িটি।
এই সংগ্রহশালায় সুচিত্রা সেনের জীবন ও কর্মকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে তার দুর্লভ অনেক ছবি ও তাকে ঘিরে লেখা বই ও স্মারক।
১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুচিত্রার। তাদের একমাত্র সন্তান মুনমুন সেন এবং দুই নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও অভিনেত্রী।
১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সুচিত্রা সেন। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে সেরা জুটি ছিল উত্তম-সুচিত্রা।
১৯৭২ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেন সুচিত্রা সেন। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বাংলাবিভূষণ’ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালে সুচিত্রা সেনকে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব করা হলে সুচিত্রা সেন দিল্লিতে গিয়ে ওই সম্মান গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ৮২ বছর বয়সে সুচিত্রা সেন মারা যান।
বাংলাদেশে এই মহানায়িকার জন্মভিটা দীর্ঘকাল অবহেলিত ও বেদখল হয়ে ছিল। ২০১৭ সালে প্রশাসনের উদ্যোগে সুচিত্রা সেনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা।
বর্তমানে এই সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুবেল। বাংলানিউজকে রুবেল বলেন, দখলমুক্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে মহানায়িকার বাড়িতে তার স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপন করে পাবনা জেলা প্রশাসন। সরকার এখানে একটি চলচ্চিত্র আর্কাইভ এবং একটি লাইব্রেরি করার পরিকল্পনা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
জেআইএম/এমকেআর