ভারতের চেন্নাই থেকে দেশে ফিরছেন ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের। রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের একটি ফ্লাইটে দেশে পথে রওনা দিয়েছেন তিনি।
ঢাকার হাসপাতালের চিকিৎসক ও চেন্নাইয়ের হাসপাতালের চিকিৎসকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে শুরু হবে গুণী অভিনেতা কাদেরের ক্যানসার নিরাময় প্রক্রিয়া।
কাদেরের অপেক্ষায় এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে। অভিনেতা আবদুল কাদের ও তার পরিবার বিমানবন্দরে পৌঁছালে, সেখান থেকে তাদের সরাসরি নেওয়া হবে হাসপাতালে।
তবে কাদেরকে কেমো দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তার পরিবার। দুপুরে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জানান, কদিন ধরে তার শ্বশুর শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। খুব একটা কথা বলছেন না কারও সঙ্গেই।
তিনি বলেন, ‘বাবাকে কেমো দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই চিকিৎসকেরা তাকে দেশে নিয়ে যেতে বলেছেন। তারা প্রেসক্রিপশন দিয়েছে। দুই দেশের ডাক্তারদের পরামর্শ অনুসারে বাবার চিকিৎসা চলবে। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন। ’
১৮ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা ছিল কাদেরের। তার রক্তের হিমোগ্লোবিন তিনে নেমে যাওয়ায় চিন্তিত ছিলেন চিকিৎসকেরা। সে কারণে ওই সময়ে আর তাকে দেশের পাঠাননি চিকিৎসকরা। হিমোগ্লোবিন তিন থেকে বেড়ে ছয় দশমিক আটে উন্নীত হলে ঢাকায় ফেরার সবুজ সংকেত দেন চিকিৎসকেরা।
আবদুল কাদের গত এক মাস থেকে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর তাকে চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। সেখানকার হাসপাতালের পরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে।
চিকিৎসকেরা জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে না।
কিংবদন্তি অভিনেতা আব্দুল কাদের হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রেও দারুণ প্রশংসিত হন। ছিলেন ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী। এছাড়া তিনি বহু নাটক-সিনেমা ও টিভি শোতে অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
ওএফবি