বহুল আলোচিত ‘হাওয়া’ সিনেমা নিয়ে দর্শকদের ব্যাপক উচ্ছ্বাসের মধ্যেও কিছুটা ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই দাবি করছেন, শিশুদের নিয়ে এই সিনেমাটি ‘দেখার উপযোগী নয়’! কারণ, এর সংলাপে ‘অশ্লীল শব্দ’র আধিক্য রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাওয়া’র গল্পের প্রয়োজনে সংলাপে স্ল্যাং ব্যবহার করা হয়েছি। আমার সিনেমার যে অঞ্চলকে ঘিরে, সেখানকার ভাষা এমন। সেখানকার মানুষ এর থেকে বেশি স্ল্যাং ব্যবহার করেন। তাদের স্ল্যাংয়ের পাঁচ শতাংশও ব্যবহার করিনি আমরা। তারা এসব হাসতে হাসতে একে অপরকে বলেন। আমি মাঝিদের সঙ্গে অনেকদিন থেকে দেখেছি এটাই ওদের ভাষা! বরং সিনেমায় গালিটাকে আমরা মার্জিতভাবে উপস্থাপন করেছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘৪৫-৫০ বছরের ওপরে যাদের বয়স তারাও সিনেমা দেখার পর প্রশংসা করছেন। যদি এমন কিছু সংলাপ থাকতো, যেটা প্রদর্শন করা সম্ভব না, তাহলে তো আরো আগেই প্রশ্ন উঠত। একটি জীবনের গল্প বলতে গেলে সেখানে নানা ঘটনার সঙ্গে দু-একটি আঞ্চলিক গালি আসতেই পারে। সেটা বুঝতে হলে গল্পের গভীরতা আগে বুঝতে হবে। দু-একজন যারা এসব কথা বলছেন তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই কথাগুলো বলছেন। যদি অসংগতি সংলাপ থাকত তাহলে তো আর মুক্তির অনুমতি পেতাম না। তাই দর্শকদের বিভ্রান্ত না হয়ে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
সমুদ্রের পানির সঙ্গে মিশে যাওয়া জেলেদের গল্পে নির্মাণ হয়েছে ‘হাওয়া’। নির্মাণের পাশাপাশি কাহিনি এবং সংলাপ লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস।
২৯ জুলাই ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে দেশের প্রায় সবগুলো মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনে হাউজফুল প্রদর্শনীর পরও দর্শক চাহিদা তুঙ্গে।
অগ্রিম টিকেট চেয়েও পাচ্ছে না সিনেপ্রেমী দর্শক। এমন অবস্থায় রাজধানীর বাইরের হল মালিকরাও ‘হাওয়া’ নিয়ে বেশ আগ্রহী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘হাওয়া’ মুক্তি পাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ প্রেক্ষাগৃহে! এমনটাই জানানো হয়েছে হাওয়ার অফিশিয়াল পেজ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এনএটি/জেআইএম