ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

কবুতরের খাঁচায় আটকে ছিল বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
কবুতরের খাঁচায় আটকে ছিল বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে গন্ধগোকুল নামে বিরল প্রজাতির একটি প্রাণী উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। উদ্ধারের পর ওই প্রাণীটিকে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে পঞ্চগড় পৌর এলাকার মসজিদ পাড়া এলাকার আশরাফুলের বাড়ির কবুতরের খাঁচা থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা ও বন বিভাগের কর্মীরা বলছে, আশরাফুলের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। পরদিন শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কবুতরের খাঁচায় একটি ভিন্ন প্রাণী দেখতে পান। এর মধ্যে প্রাণীটি দুইটি কবুতরকে মেরে ফেলে রাখে এবং আরও দুইটি কবুতর খেয়ে নেয়। পরে প্রাণীটি খাঁচায় আটকা পড়লে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমবারের মত প্রাণীটিকে দেখতে অনেকেই ভিড় জমান ওই বাড়িতে। এদিকে বিকেলে খবর পেয়ে পঞ্চগড় বন বিভাগের কর্মীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করে রাতে সদরের লাঠুয়াপাড়া এলাকায় একটি জঙ্গলে অবমুক্ত করে।

বন বিভাগের কর্মীরা বলছে, প্রাণীটির নাম গন্ধগোকুল। আর এটির ওজন প্রায় আট কেজি হলেও লম্বায় আড়াই ফিট ও উচ্চতায় দুই ফিট।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক আশরাফুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খাঁচার ভেতর দুইটি কবুতর মরে পরে আছে। আর দুটিকে খাচ্ছে প্রাণীটি। এরকম প্রাণী আগে দেখিনি, আমরা দেখে অবাক।

আশরাফুলের ছেলে আতিক বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি কবুতরের খাঁচার ভেতর এই আজব প্রাণীটি। খাঁচায় থাকা চারটি কবুতরের মধ্যে দুইটিকে খেয়ে ফেলে এবং দুইটি কবুতরকে মেরে ফেলে রেখেছে। পরে প্রাণীটির সম্পর্কে এলাকার মানুষের কাছে জানার চেষ্টা করি আমরা। এর মাঝে বন বিভাগ খবর পেয়ে খাঁচা থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। তবে বন বিভাগের লোক আসার পর আমরা জানতে পারি এটির নাম গন্ধগোকুল।

পঞ্চগড়ের সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মধুসূদন বর্মন বাংলানিউজকে বলেন, এই বিরল প্রজাতির প্রাণীটি প্রায় বিলুপ্ত। খবর পেয়ে আমরা বিকেলে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে প্রাণীটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদরের লাঠুয়াপাড়া এলাকায় একটি বনে অবমুক্ত করি। মূলত এটি অরক্ষিত এবং নিশাচর প্রাণী হওয়ায় প্রাণীটিকে আবার প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।