ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ মাঘ ১৪৩১, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ রজব ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে তিস্তা সংকট সমাধান হবে: অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে তিস্তা সংকট সমাধান হবে: অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ

পটুয়াখালী: আগামীর নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে তিস্তা সংকট সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।  

বিগত সরকার ১৬ বছরেও তিস্তা সংকট সমাধান করতে পারেনি।

দরকার হলে চীন, নেপাল, জাপান ও আমেরিকার সহযোগিতা নিয়ে জোট গঠন করে এ সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রতি বছর পানির জন্য কয়েক কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এদিকে অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারহা কবির বলেন, নদীকে শাসন নয়, সম্মান করতে হবে। নদীর মর্যাদা রক্ষা করে মানুষের পানির অধিকার ও নায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘পানির ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্রের ভবিষ্যৎ’ স্লোগানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যাকশন এইড বাংলাদেশে’র উদ্যোগে দুদিনের দশম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন।

আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে ভূ-রাজনীতি, পানি ব্যবস্থাপনা ও সমুদ্র সম্পদের ভবিষ্যতের স্থায়িত্ব নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং আলোচনাকে উৎসাহিত করতে এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশসহ আন্তঃসীমানা পানি ও নদী নিয়ে চলমান ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্রের বিদ্যমান সংকট, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।

এসময় বক্তারা বলেন, দেশ-বিদেশের যুবক, নারী, অ্যাকাডেমিক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, এনজিও, দাতা সংস্থা ও বাস্তবায়নকারীদের সম্পৃক্ত করে পানি ব্যবস্থাপনা, নদী শাসন এবং পানি ও সমুদ্রের ভবিষ্যতের স্থায়িত্ব নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে। এছাড়া এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে জোর দেওয়া হবে।
পাশাপাশি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, ন্যায়সংগত বণ্টন এবং পানি ও সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতের তাগিদও থাকবে সম্মেলনে।
 
আয়োজকরা বলেন, এ সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পানি, নদী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনীমূলক সমাধান চিহ্নিত ও প্রচার করা, পানি ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সংগত ও ন্যায্যতার দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা।

রোববার সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘তিস্তা ও সীমান্তবর্তী নদীসমূহের ভবিষ্যৎ’, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও স্থানীয় উদ্ভাবন’, ‘জলবায়ু ভবিষ্যৎ’, ‘পানি অর্থায়ন এবং পানি কূটনীতির ভূমিকা’ নিয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিতীয় দিন সোমবারের পানির নায্য বণ্টন নিশ্চিত করে নারীর ক্ষমতায়ন, পানি ব্যবস্থাপনায় নারীবাদী দৃষ্টিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষমতার সম্পর্ক মূল্যায়ন, পানি বিষয়ক শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ, সহযোগিতার ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্র ও পানিসম্পদ রক্ষার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে।  

সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ এবং প্রস্তাবনাগুলো পরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা হবে।

দেশের পানিসম্পদ ও তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের চিন্তার প্রসার, পানি নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ, বিভিন্ন ধরনের সংলাপকে উৎসাহিত করা, পানি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে জোট গঠন, আন্তঃসীমান্ত কার্যক্রমে উৎসাহ দিতে ২০১৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন আয়োজন করে আসছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।