ঢাকা: বর্তমান তরুণ প্রজন্ম পরিবেশ নিয়ে ভাববে এবং যোগ্য নেতা হয়ে গড়ে তুলবে একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় সম্প্রতি শেষ হওয়া গ্রণি ইয়ুথ সিটিজেন র্শীষক একটি কর্মশালায় বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা নতুন প্রজন্মকে দলবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। আলোচ্য প্রকল্পটি বিশ্বের পাঁচটি দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে সক্রিয় নাগরিকত্ব গড়ে তোলার জন্য।
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো ২৩ নভেম্বর, ২০১৩ তার প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মশালাটির আয়োজন করে। ‘ইয়ুথ ইন অ্যাকশন: গ্রণি ইয়ুথ সিটিজেন’ প্রকল্পটি ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় নেটওর্য়াক গড়ে তোলার জন্য প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।
এ প্রকল্পরে প্রধান লক্ষ্য হলো-, পরিবেশ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে পরিবেশ সচেতন নেতা তৈর। ি কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে সর্বসাধারণের কাছে পরিচিতি করানোর জন্য।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এসডোর চেয়ারপারসন, সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষিত দক্ষ ও নবেদিত পরিবেশ সচেতন নেতা গড়ে তোলার জন্য পরিবেশ আন্দোলনে আগামী প্রজন্মের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসডোর সেক্রেটারি জনোরেল ড. শাহরিয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রণিক্লাব উদ্বোধনের ঘোষণা দেন। তিনি গ্রণিক্লাব কার্যক্রম সর্ম্পকে বলেন, এই ক্লাবটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যুবসমাজকে নিয়ে পরিবেশ আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতন নেতা তৈররি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এসডো অনেকদিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন, সচেতনতা বৃদ্ধি, শিশু সমাবেশ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং ক্লাব গঠনের মাধ্যমে যুব সমাজ ও শিশুদের সঙ্গে কাজ করে।
রাজশাহী ও নরসিংদীতে আদবিাসীদের সন্তানদের পরিবেশ বিষয়ক সহজ পাঠ দিয়ে পুরো সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিবেশ রক্ষা ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সফলতা আনতে পেরেছে সংস্থাটি। আগামীতে পুরো দেশেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের নজির স্থাপনের ব্যাপারে আশাবাদী এসডো।
বাংলাদশে সময়: ২২০১ ঘণ্টা, নভম্বের ২৩, ২০১৩