০৯ নভেম্বর প্রকাশিত জার্মানভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা জার্মানওয়াচের করা ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০১৮’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের ২০০টি দেশের দুর্যোগের সংখ্যা, মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
ওই সময়ে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঘটিত বিভিন্ন দুর্যোগে মোট ৮৫৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এসব দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি ডলার। ওই সময়ে মোট ১৮৭টি দুর্যোগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে।
সংস্থাটির করা দীর্ঘমেয়াদী দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স (সিআরআই) অনুযায়ী, ১৯৯৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় শীর্ষ তিনটি দেশ হিসেবে হন্ডুরাস, হাইতি ও মিয়ানমারের নাম রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে নিকারাগুয়া এবং ফিলিপাইনের নাম।
আর বাংলাদেশের পরই রয়েছে পাকিস্তানের নাম। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ভারত।
এদিকে প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ২০১৬ সালের ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো ১০ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম উঠে এসেছে। ওই বছর সবার উপরে রয়েছে হাইতি। পরে যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে, ফিজি, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম ও ভারত রয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন চলাকালে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশেগুলোর তালিকা প্রকাশ করে জার্মানওয়াচ। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে জার্মানির বন শহরে শুরু হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএ/