১০৬টি চিতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মরেছে উত্তরাখণ্ডে। দু’মাসে ২৪টি চিতা মারা গেছে এই প্রদেশে।
অফিসিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভারতে মোট ৪৩১টি চিতাবাঘ বিভিন্ন কারণে মারা যায়। এর মধ্যে চোরাশিকারিদের শিকার হয়েছে ১৫৯টি। ২০১৬ সালে মরেছিল ৪৫০টি।
চিতা চোরাশিকারিদের টার্গেটের কারণ এর মূল্যবান চামড়া এবং দেহের অন্যান্য অংশ। বিষয়টি বেশ উদ্বেগের বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।
অবৈধভাবে চিতা শিকারে জড়িতদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিতার চামড়া কয়েক হাত ঘুরে পাচার হয়ে চলে যায় চীনের বাজারে। আর একেকটি চামড়া বিক্রি হয় ৫০ লাখ রুপি বা তার চেয়ে বেশি দামে।
একটি চামড়া ভারতে ৩-৪ লাখ রুপিতে বিক্রি হলেও নেপাল অথবা প্রতিবেশী দেশে বিক্রি হয় ৮-১০ লাখ রুপিতে। আর চোরাকারবারিরা সবশেষ চীনে নিয়ে সেটা বিক্রি করে ৫০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি দামে।
বন্যপ্রাণী সুরক্ষা সমিতি বলছে, চিতা মারা যাওয়ার পেছনে ১০টি সাধারণ কারণ রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ২ মাসে মারা যাওয়া ১০৬টি চিতার মধ্যে ৩৬টির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। চামড়া, হাড়, মাথার জন্য মারা হয়েছে ২৩টি।
এছাড়া চোরাশিকারিদের হাতে সরাসরি মৃত্যু হয়েছে ১৮টির। যেগুলো মারা হয়েছে গুলি করে অথবা ফাঁদ পেতে। পাঁচটির মৃত্যু হয়েছে গ্রামবাসীদের হাতে, ট্রেন ও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা পড়েছে ৮টি, চিতারা নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭টির। এছাড়া বাঘ বা অন্য কোনো প্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা পড়েছে আরও পাঁচটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের নিরাপত্তার জন্য এটা একটি বড় হুমকি।
দেরাদুনভিত্তিক একটি গবেষণার মতে, ভারতের ১৭টি প্রদেশে প্রায় ৯ হাজার চিতাবাঘ রয়েছে। আর হরিয়ানা, হিমাচল, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীরে বসবাস করা চিতার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এসব প্রদেশে প্রচুর সংখ্যক আছে বলে জানা যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী ভারতীয় চিতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এএ