কিন্তু এই মন্থর গতিই স্লথদের টিকে থাকার জন্য আলাদা সুবিধা দেয়। এমনটাই বলেন কোস্টারিকার স্লথ কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের প্রাণিবিদ বেকি ক্লিফ।
তিনি বলেন, স্লথদের অচলতা আসলে এক প্রকার ভ্রান্ত ধারণা। পানিতে স্লথরা তিনগুণ দ্রুত চলাচল করতে পারে।
গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে কোনো সমস্যাই হয় না স্লথদের। ঝুলে থাকার জন্য স্লথের থাবায় রয়েছে প্রসারিত নখ। তাছাড়া হাতের তালুতে রক্ত চলালচের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত ধমনী। এসব কারণে গাছের ডালের সঙ্গে এরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন ঝুলে থাকতে পারে।
দক্ষিণ আমেরিকার স্লথদের বড় শত্রু হার্পি ঈগল। এসব ঈগল অনেক দূর থেকেও শিকারের সামান্য নড়াচড়াও দেখতে পায়। ঈগলদের চোখ ফাঁকি দিতে স্লথের মন্থরগতির কোনোই তুলনা হয় না।
স্লথদের পরিপাক প্রক্রিয়া খুবই ধীর। তৃণভোজী এ প্রাণীর পাকস্থলী একটা পাতা হজম করতে সময় নেয় প্রায় ৩০ দিন। এভাবে শরীরে খুব কমই শক্তি সরবরাহ করা যায়। তাই স্লথরা ধীরে চলাফেরা করে এবং যতোটা সম্ভব কম শক্তি অপচয় করে। তাছাড়া, ধীরগতির পরিপাক ক্রিয়ার কারণে খাদ্যের প্রায় সব পুষ্টিগুণই হজম করা সম্ভব হয়।
স্লথরা বাস করে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনভূমিগুলোতে। অভিযোজনের দিক থেকে এদের অনেক সফল প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে ছয় প্রজাতির স্লথ পৃথিবীতে রয়েছে, তাদের কোনোটিই বিলুপ্ত হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এনএইচটি/এএ