শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা এসব কথা জানায়। বেসরকারি সংস্থা এনসিআরবি (নেটওয়ার্ক ফর ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জলাভূমি রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি আরও বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘ প্রণীত জলাভূমি সনদ ১৯৭৫ সাল থেকে কার্যকর হয়। বাংলাদেশ এই সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর অন্যতম। ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসার শহরে এ বিষয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে রামসার সনদে স্বাক্ষর করে সুন্দরবন এবং টাঙ্গুয়ার হাওড়কে এর অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার উপকূলীয় জলাভূমি অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং পরিবেশবান্ধব ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব জলাভূমিতে দেড় হাজার প্রজাতির মেরুদণ্ডী প্রাণি, ৭৫০ প্রজাতির পাখি এবং ৫০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এরমধ্যে দেশের ২১ লাখ হেক্টর জলাভূমির বিলুপ্তি ঘটেছে।
এসময় সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় ক্ষতিকর প্রকল্প ও শিল্প স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া, দেশের সব জলাভূমিকে রামসার সনদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, জলাভূমির ইজারা বন্ধ, জলাভূমি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অপরেশ পাল। উপস্থিত ছিলেন শেখ আফজাল হোসেন খুরশীদ জাহান শীলা, রিয়াজুল ইসলাম, শংকর মণ্ডল, উত্তম মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
এনটি