শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোড, মৌলভীবাজার রোড, হবিগঞ্জ রোডসহ নানা সড়কের বড় বড় গাছের শরীরে এভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। বড় বড় লোহার পেরেকের সাহায্যে গাছের শরীরে এমনভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে যাতে সহজে কেউ খুলতেও না পারে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তার পাশের বড় বড় গাছগুলোকে টার্গেট করে এসব বিজ্ঞাপন টাঙানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে- শিরিষ গাছ, বট গাছ, অশত্থ গাছসহ বিশালাকৃতির গাছগুলো। লোহার কারণে গাছের শরীরে পানি জমে পচন ধরে তা গাছের ক্ষতি করছে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী সুলেমান আহমেদ মানিক বলেন, চলতি পথে হঠাৎ দেখা যায়, সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেছে সড়কের গাছগুলো। মনে হয় এগুলো গাছ; নাকি অ্যাডকর্নার? আসুন, আমরা সম্মিলিতভাবে পেরেকে গাঁথা সাইনবোর্ডগুলো তুলে ফেলে গাছগুলোকে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে উচিত এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা দেওয়া। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও আদালত প্রাঙ্গণ- এসব জায়গার বড় বড় গাছের গায়েও পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে। এতে গাছের দৈহিক বৃদ্ধিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। অপরদিকে নির্দিষ্ট সময় পরে অনুমতি সাপেক্ষে যখন পরিপক্ব গাছ কাটা হয়, তখন দেখা যায় লোহার কারণে অনেক কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হয়।
তিনি আরও বলেন, গাছেরও প্রাণ আছে -এ কথাটি যেহেতু প্রমাণিত, তাই নির্দয়ভাবে গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড লাগানো নৃশংসতার পরিচয়।
এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও আইন প্রয়োজন বলে জানান আবদুল করিম কিম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, ৫ এপ্রিল, ২০১৯
বিবিবি/এসএ/এএ