আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে। এখানে ৩৬ দমমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটির পর ঈশ্বরদীতে ৩৬ দশমিত ৬ ডিগ্রি, যশোরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি, রাজশাহী ও কক্সবাজারে ৩৬ ডিগ্রি এবং দেশের অনেক স্থানে ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঢাকাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিনের ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বাড়ছে। শুক্রবারের চেয়ে পরিসংখ্যান বলছে শনিবার প্রায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করেছে। তাপমাত্রার বাড়ার প্রবণতা বিরাজ থাকবে আরও পাঁচদিন।
রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এ অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্খায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবাহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাবনা, যশোর, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। আর আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থায় তেমন পরিবর্তন না হলেও পরবর্তী পাঁচদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখের প্রথমে যে তাপপ্রবাহ চলছে এটা আরও বেড়ে মাঝারিতে (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রূপ নিতে পারে। এর চেয়ে বাড়তেও পারে। এক্ষেত্রে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বা তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা ফেলে দেওয়া যায় না।
মার্চে এক মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, এপ্রিলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপ প্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে) এবং অন্যান্য স্থানে ১ থেকে ২টি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াল) বয়ে যেতে পারে।
এদিকে তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠছে বলে জানিয়েছে বাংলানিউজের প্রতিনিধিরা। আর রাজধানী ঢাকাতে তাপপ্রবাহ না হলেও গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। ঢাকার পরিবেশের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীর কর্মজীবী মানুষের প্রতিক্রিয়া বলছে, অনেকটা চুল্লির পাশে দাঁড়িয়ে থাকার অনভূতি পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার রাস্তায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
ইইউডি/এসএইচ