বলা হচ্ছে, রাজশাহীর মানুষ দুই কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এর একটি হলো ফণীর কবল থেকে রক্ষা ও গত ক’দিন ধরে তীব্র দাবদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি।
‘ফণী’ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সারাদেশের মতো রাজশাহীর মানুষের মনেও উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। ঝড়ের সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, দমকল বিভাগ পূর্ব প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু শনিবার (৪ মে) সকালের দিকে জানা যায়, ‘ফণী’ রাজশাহীতে আসছে না। দেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে চলে যাচ্ছে উত্তরে। এর পর থেকেই স্বস্তি নামে মানুষের মনে। আগের দিন থেকে বন্ধ রাখা দোকানপাট খুলতে শুরু করে।
তবে, ফণীর প্রভাবে দু’দিন দরে বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি লাগাতার চলে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে ছিল দমকা বাতাস। তবে বৃষ্টির কারণে শনিবারও রাস্তায় লোকজনের চলাচল ছিলো কম।
কৃষি বিভাগ বলছে, এই বৃষ্টি আমের জন্য বেশ কাজে লেগেছে। পাকা আধাপাকা ধান নিয়ে কৃষকের মনে যে ভয় তৈরি হয়েছিলো তাও কেটে গেছে। তবে, বৃষ্টি যদি লাগাতার চলতে থাকে তাতে ধান কাটা নিয়ে বিপদে পড়বে কৃষক।
এমনিতেই বেশ কিছু জমির ধান জমিতে পড়ে গেছে, পানি জমে গেলে এসব ধান কাটা কষ্টকর হবে। অনেক ধান ঝরেও যাবে। এতে ফলন কমে যেতে পারে। তবে, আশার কথা হচ্ছে বিকেল ৩টার পর রাজশাহীর আকাশে রোদ দেখা যায়। এ থেকে মানুষের মনে আশা জেগেছে, হয়তো বৃষ্টিও অস্বাভাবিকভাবে আর হবে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিট থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আরও ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে ওঠানামা করলেও শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমেছে। আর শনিবার বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম বলে জানান রাতে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসএস/এইচএ/