ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

কপ-১৭: কিয়োটো চুক্তির কফিনে শেষ পেরেক আফ্রিকাতেই!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১
কপ-১৭: কিয়োটো চুক্তির কফিনে শেষ পেরেক আফ্রিকাতেই!

ডারবান থেকে: কিয়োটো প্রটোকল চুক্তিটি করা হয় ১৯৯৭ সালে। পরিবেশ রক্ষায় একমাত্র আইনগত চুক্তিটি কার্যকর হয় ২০০৫ সালে।

উন্নত দেশগুলোর দূষণের মাত্র ৫% কমানোর জন্য এ আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সবাই আশা করেছিল।    
চুক্তিটির প্রথম ধাপ শেষ হবে ২০১২ সালে। এটি যদি এবার নবায়ন করা না হয় তাহলে কিয়োটো প্রটোকলের কবর আফ্রিকাতেই হতে যাচ্ছে। জ়াপান, কানাডা, রাশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিল তারা কিয়োটো চুক্তি নবায়ন করতে ইচ্ছুক নয়। মঙ্গলবার আমেরিকাও জানিয়ে দিয়েছে তারাও এই চুক্তি নবায়নের বিপক্ষে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান এখনো পরিস্কার নয়। এবারের সম্মেলনের সিদ্ধান্তের উপর অনেকাংশে নির্ভর করছে কিয়োটোর ভবিষ্যত। তবে কিয়োটো নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

মঙ্গলবারের আলোচনায় জি-৭৭/চায়না গ্রুপের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনা বলেছে জাতিসংঘের জলবায়ু কনভেনশনের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে ডারবান থেকে ফলাফল আসতেই হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৫ সালের মধ্যে আইনগত চুক্তি প্রণয়নের জন্য এখনই কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছে।  

জ়ার্মানওয়াচের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেস্ক ২০১২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১০ সালের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পাকিস্তান, গুয়াতেমালা, কলম্বিয়া ও রাশিয়া। এর আগ পর্যন্ত এ তালিকার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ, মায়ানমার ও হন্ডুরাস। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় বাংলদেশ আছে তিন নম্বরে। এই রিপোর্টে আরো বেরিয়ে আসে স্বল্প উন্নত দেশগুলো অন্যান্য দেশগূলোর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন রোগে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে এই রিস্ক ইনডেস্ক ভবিষ্যতে বিভিন্ন রোগের মাত্রা বাড়বে বলেও সতর্ক করে দেয়।

ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্লোবাল টিম
ব্রিটিশি কাউন্সিলের গ্লোবাল টিমের সদস্য হিসেবে আমি মঙ্গলবার ডারবানের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সাথে জলবায়ু বিষয়ক মত বিনিময় বৈঠকে অংশ নেই। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরতেই সবাই বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। তখন মনে হচ্ছিল আর কত মানুষের সহানুভূতি পেলে বিশ্বের নেতারা একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসবেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের গ্লোবাল টিমে বিভিন্ন মহাদেশের প্রায় ২৫ জন তরুণ প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রত্যেকেই নিজের দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অথবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করছে। কারো কাজ স্কুলের বাচ্চাদের সাথে, কেউ আবার পরিবেশ বান্ধব ব্যবসা খুলে বসেছে। কিন্তু সবার একটি চাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সব প্রতিটি দেশের নেতারা করুক।  

আব্দুল্লাহ আল রেজ়ওয়ান নবীন
ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট চ্যাম্পিয়ন, ব্রিটিশ কাউন্সিল
বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট (বিওয়াইএমসি)
www.facebook.com/BDYOMOCI

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।