একসময় বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকলেও এই বিশালাকার মাছে এখন ব্রাজিলের বাজার সয়লাব। রাজধানী রিও ডি জেনেরিওর প্রায় সব বড় রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় পিরারুকু।
বিলুপ্তির ঝুঁকি থেকে মাছটি রক্ষার সম্পূর্ণ কৃতিত্বই আমাজনের আদিবাসীদের।
এ ব্যাপারে ব্রাসেরি রোজারিও রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ ফ্রেডেরিক মনিয়ের বলেন, তাদের (আদিবাসীদের) সাহায্য ছাড়া এরা বিলুপ্ত হয়ে যেতো।
চেজ ক্লডের শেফ জেসিকা ত্রিনদাদে বলেন, আমাজনের জন্যে তারা যারা করছেন, তা অমূল্য।
ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ‘মোকা’ ডিশ তৈরি করতে পিরারুকু ব্যবহার করেন শেফ মার্সেলো বার্সেলোস। মোকা হচ্ছে মাছের তৈরি এক বিশেষ ধরনের স্যুপ। পাম তেলে ডুবিয়ে রান্না করে ধনিয়া পাতা দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই ডিশ, সঙ্গে মনিয়াক ময়দা ও বাদাম। ডিশটি খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতেও তেমন চোখ জুড়ানো। নোনাপানির পোলক বা কড মাছের মতোই সুস্বাদু বলে পিরারুকুকে আমাজনের কড বলেও ডাকা হয়।
শুধু জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ মাছটি শিকার করা যায়। বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রজননের মৌসুমে এই মাছ শিকার করা নিষেধ।
অন্য মাছের চেয়ে পিরারুকু স্বাদ ও পুষ্টির দিক থেকেও অনেক উৎকৃষ্ট। একসময় বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা এই মাছ বাঁচাতে ২০ বছর আগে টেকসই মাছ শিকার প্রকল্প নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এ মাছের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫শ’, যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি।
অপারেশন ন্যাটিভ আমাজনের (ওপিএএন) কো-অর্ডিনেটর লিওনার্দো কুরিহারা বলেন, এই প্রকল্পটি দারুণ। এর কারণে জেলেরাও স্থানীয় বাজারদর থেকে বেশি লাভ করছেন। শেফরাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এফএম/একে