শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধনকারী সব শাপলা ফুলগুলোকে পানি থেকে পাড়ে উপড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিনষ্ট হয়ে গেছে জলজ উদ্ভিদের চোখজুড়ানো শোভা।
সম্প্রতি এই পুকুরটিতে প্রস্ফুটিত শাপলার আলোকচিত্র ধারণে করতে গিয়ে দেখায়, পুকুরের ফাঁকে ফাঁকে ভাসমান জলজবৃক্ষগুলোতে ফুটে আছে গোলাপি রঙের শাপলা। যা এ স্থানীয় পরিবেশকে অপূর্বরূপে উপস্থাপন করে আসছিল।
ভিক্টোরিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অয়ন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সবগুলো শাপলা উদ্ভিদ তোলা হয়নি। কিছু পাড়ে রাখা হয়েছে। পরে আবার ওগুলো পানিতে ভাসানো হবে। স্থানীয় দুর্গামূর্তি এ পুকুরে বিসর্জনের ফলে মূর্তির রঙের গ্যাসে কিছু মাছ মরে গেছে। এজন্য পরিষ্কার করা হয়েছে।
পুকুরটি বছরের লিজ দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে প্রধানশিক্ষক বলেন, পুকুরটি স্কুলের শিক্ষকদের তত্ত্ববাধানেই রয়েছে। পুকুরের শাপলার কারণে মাছ মরে যাওয়ার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, জলাশয়ের ফাঁকে ফাঁকে ভাসমান জলজ উদ্ভিদ ও মাছসহ জলজ প্রাণীদের খাদ্য ও নিরাপত্তা দান করে। এছাড়া শাপলা, পদ্ম প্রভৃতি জলজ উদ্ভিদগুলোতে যখন ফুল ফুটে তখন সেই জায়গাটি আরও বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে। খাদ্য, নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য এ বিষয়গুলো রয়েছে জলজ উদ্ভিদগুলো মধ্যে।
কথা প্রসঙ্গে সহিদুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, শাপলার ইংরেজি নাম Water Lili। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫টি প্রজাতির শাপলার কথা উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশে পাওয়া যায় সাদা, লাল, লালচে গোলাপি, নীলচে সাদাসহ তিন-চার প্রজাতির শাপলা। সাদা শাপলা ‘জাতীয় ফুলের’ মর্যাদা পেয়েছে। একেকটি ফুলে ছয়টি করে পাপড়ি ও ছয়টি পুংকেশর থাকে। তবে মাঝেমধ্যে এক্ষেত্রে সংখ্যার ব্যতিক্রমও দেখা যায়। ‘সারাদেশের ছোট-বড় জলাভূমিগুলোতে এদের পাওয়া যায়। বর্ষা, শরৎ এবং হেমন্তে রাতে ফুল ফুটে এবং সকালবেলায় সৌন্দর্য ছড়িয়ে রোদের উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাপড়িগুলো আবার গুটিয়ে যায় বলে জানান এ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা নভেম্বর ১১, ২০১৯
বিবিবি/এএটি