রোববার (২২ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ফলে ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি। তবে টানা চারদিন পর রাজশাহীর কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে সূর্য হেসেছে।
রাজশাহীর ওপর দিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ওই দিন থেকেই সূর্যের দেখা মিলছিলো না। টানা চারদিন পর সোমবার দুপুরে রাজশাহীতে দেখা মিললো সূর্যের।
আবহাওয়া অধিদফতর জানাচ্ছে, সোমবার থেকে রাজশাহীসহ সারাদেশের তাপমাত্রাই কিছুটা বাড়তে পারে। এছাড়া সোমবার সারাদেশের আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে পরবর্তী দুই দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে এর পরের পাঁচদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে ২২ ডিসেম্বর আবার সেই তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সোমবার ২৩ ডিসেম্বর আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এভাবেই রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে উঠানামা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে আকাশে ঘন কুয়াশার কারণে কয়েকদিন থেকে রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও সোমবার দুপুরে দেখা মিলেছে। কিন্তু সূর্যের উত্তাপ না থাকায় তাপমাত্রা বাড়লো রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ কমেনি। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে বলেও জানান রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএস/এএটি