সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি পাখির বিচরণক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করে পাখিদের কর্মচাঞ্চল্যতার পরিবর্তে জড়সড় হয়ে থাকতে দেখা যায়।
বছরের অন্যান্য সময় যেখানে পাখিদের এক ডাল থেকে অন্য ডালে উড়তে, খাবারের সন্ধানে ব্যস্ত থাকতে কিংবা একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি ও কলকাকলিতে মুখর থাকতে দেখা যায়, এর বদলে এবার শীতে পাখিদের ঝিম মেরে বসে থাকতে দেখা গেছে।
মুক্ত আকাশে বিচরণ করা বন্য পাখিদের পাশাপাশি মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার পাখির অবস্থাও প্রায় একই রকম। দর্শনার্থীদের আগমনেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সেগুলোর। যে যার মতো একে অপরের শরীরের সঙ্গে শরীর ঘেঁষে, কিংবা একা বসে থাকতেই যেন তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।
শীতের ফলে শালিক, কাঠঠোকরা, চড়ুই ও কাকদের একা একা, চুপচাপ বা দলবদ্ধ হয়ে শরীরের পালক ফুলিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। পালক ফুলিয়ে রাখাটা পাখিদের শীত নিবারণের প্রকৃতিপ্রদত্ত একটি ক্ষমতা। পালক ফুলিয়ে রাখলে পাখিদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। ফলে শীতে কিছুটা গরম অনুভূত হয়।
শীতে পাখিদের জীবন-প্রণালির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, তাপমাত্রা যদি শূন্য ডিগ্রিতেও নেমে আসে, এরপরেও পাখিদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ পাখিদের শরীরে প্রকৃতিপ্রদত্তভাবেই কম্বল দেওয়া আছে। পালক পাখির শীত নিবারণের জন্য কম্বলের মতোই কাজ করে। তবে সেক্ষেত্রে হয়তো বৃদ্ধ, অসুস্থ অথবা বাচ্চা পাখির কিছু ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
আরকেআর/এসএ