অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ এবং ‘দ্য ক্রোকোডাইল হান্টার’ হিসেবে পরিচিত স্টিভ আরউইন প্রাণীদের রক্ষায় নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতেও দ্বিধা করতেন না। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলবর্তী অঞ্চলে একটি বিষাক্ত স্টিংগ্রে মাছের কামড়ে মারা যান স্টিভ।
আরউইন পরিবার এ পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি প্রাণী উদ্ধার করেছে ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান দাবানলে আহত অসহায় বন্যপ্রাণীরাও।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে বিন্ডির ভাই রবার্ট আরউইন ‘ওলি’ নামে একটি প্লাটিপাসের ছবি দিয়ে বলেন, সেটি তাদের বন্যপ্রাণী হাসপাতালের ৯০ হাজারতম রোগী।
এসময় ২১ বছর বয়সী বিন্ডি বলেন, আরউইন পরিবার পরিচালিত অস্ট্রেলিয়ান চিড়িয়াখানার কোনো অংশেই আগুন নেই। ওই জায়গায় নিরাপদে রয়েছে সব প্রাণী। তবে তাদের চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণী হাসপাতালটি খুব ব্যস্ত দাবানলে আহত প্রাণীদের সেবায়।
বিন্ডি বলেন, আমার বাবা-মা অস্ট্রেলিয়ান চিড়িয়াখানা বন্যপ্রাণী হাসপাতাল উৎসর্গ করেছেন আমার দাদির নামে। তাদের স্মরণে আমরাও ‘বন্যপ্রাণী যোদ্ধা’ হিসেবে যত সম্ভব তত প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এ পরিবেশকর্মী ও সংরক্ষণবাদী একটি ‘অপসাম’ এর (এক জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী) ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে লেখেন, ওর (অপসামটির) জীবন বাঁচানোর জন্য খুব চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিন্তু অনেক চেষ্টা পরেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি ‘ব্লসম’ নামে ওই প্রাণীটিকে। এভাবেই অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে অসংখ্য প্রাণী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মধ্য-দক্ষিণ উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় আট হাজার কোয়ালা মারা গেছে এতে, যা ওই অঞ্চলের কোয়ালাসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এফএম