বুধবার (৩ জুন) বিকেল নাগাদ উপকূলে আছড়ে পড়বে নিসর্গ। ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ হচ্ছে ভারতের মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মধ্যবর্তী কোনো স্থান দিয়ে সমতলের দিকে।
এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানবে না। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এর প্রভাব পড়বে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী জানান, প্রবল আকার ধারণ করার পর প্রথমে কিছুটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে ধাবিত হবে। এরপর পুনরায় দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে আসবে। এতে ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (৩ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর মহারাষ্ট্রের হরিহরেশ্বর এবং দক্ষিণ গুজরাটের দামানের ভেতর দিয়ে মহারাষ্ট্রের রায়ঘাট জেলার আলিবাগের নিকট দিয়ে সমতলে ওঠে আসবে।
এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে সমতলে উঠে আসতে প্রচুর শক্তিক্ষয় করবে নিসর্গ। এরপর বুধবার রাতেই এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) শান্ত হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে গোয়া থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে, মুম্বাই থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং সুরাট থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে, যা ঘণ্টায় ১১ কিমি বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।
নিসর্গ নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ সামুদ্রিক ঝড় বাংলাদেশ পর্যন্ত আসবে না। তারপরও ঝড়ের প্রভাব পড়বে এ দেশের আবহাওয়ায়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, নিসর্গের প্রভাবে দেশে ভ্যাপসা গরম বিরাজমান থাকবে কয়েকদিন। ঝড়-বৃষ্টি যেভাবে হচ্ছে, সেভাবেই হবে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিসর্গ বাংলাদেশে তো আসবেই না। ভারতের মধ্যভাগেই শেষ হয়ে যাবে। তবে আমাদের বর্ষা মৌমুস আটকে দিয়েছে এ ঝড়। এর কারণেই বর্ষাটা দেশের অভ্যন্তরে আসতে পারছে না। বঙ্গোপসাগরেই আটকে আছে। কয়েকদিন দেরিতে দেশের অভ্যন্তরে আসবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
ইইউডি/এফএম