শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল ৯টায় ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে (২৬.৫০ সেন্টিমিটার) এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার (২৩.৭০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রায় দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। পানি যে হারে বাড়ছে তাতে দুপুরে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কুড়িগ্রামের শহর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার করায় এবার ধরলার পানি শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। আর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নদী ভাঙনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। কিছু কিছু ভাঙন কবলিত এলাকায় আমরা জরুরিভিত্তিতে কাজ অব্যাহত রেখেছি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, বন্যা মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এফইএস/এইচএডি