কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অসুস্থ বাঘিনীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
নির্দিষ্ট বেস্টনিতে চিকিৎসকের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখে বাঘিনীকে দেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং খাবার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরিনারী সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাঘটির পেছনের ডান পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হেয় গেছে। ওই পায়ের গোড়া থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ অবস্থায় বাঘিনীকে পার্কে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে বাঘটি এখনো শংকামুক্ত নয়।
তিনি জানান, আনুমানিক ৬ থেকে ৭ বছর বয়স ওই বাঘিনীর ওজন প্রায় ৭৫ কেজি। এটি এখনও কোন বাচ্চা দেয়নি। সুন্দরবন এলাকায় নিয়মিত খাবার খেতে না পেয়ে একেবারে শুকিয়ে গেছে।
সাফারি পার্কে হস্তান্তরের পর থেকে ওই বাঘিনীকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্ষতস্থানে নিয়মিত ড্রেসিং এবং দেওয়া হচ্ছে এন্টিবায়েটিকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা।
পার্কের রেঞ্জার এবিএম জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বাঘিনীকে পার্কে আনার পর তার চিকিৎসার সুবিধার্থে নির্দিষ্ট বেস্টনিতে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে পার্কে পাঠানো এই বাঘিনীর খাবারের জন্য বরাদ্দ না থাকলেও প্রতিদিন ১০ কেজি গরুর মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে।
তার মতে, অন্তত ৩ মাস আগে সুন্দরবনে দুষ্কৃতকারীর দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওই বাঘিনীর পা বিচ্ছিন্ন করেছে। এতে ওই বাঘিনী খাবার শিকার করতে পারছিল না। এ অবস্থায় খাদ্যের সন্ধানে পার্শ্ববর্তী লোকালয়ে অবস্থান নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেতকাশি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গত ১৪ জানুয়ারি বনবিভাগ এই বাঘিনীকে উদ্ধার করে।
এর আগে ট্রাঙ্কুলাইজারের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে বাঘিনীকে অচেতন করা হয়। অসুস্থ এই বাঘিনীকে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা হয়ে বনবিভাগের একটি ট্রাকের মধ্যে খাঁচায় বন্দী করে গত সোমবার রাতে পার্কে নিয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১২