ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিড়ালের জন্য খোলা হলো হাসপাতাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২১
বিড়ালের জন্য খোলা হলো হাসপাতাল নিলমের বিড়াল ছানা

নীলফামারী: সরকারি ছুটি। এর ওপর কঠোর লকডাউন।

তবু একটি বিড়াল ছানাকে বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠলেন চিকিৎসক। ঘটনাটি শনিবার (৩ জুলাই) সকালের।  

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সৈয়দ নিলমের পোষা বিড়াল ছানা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নেওয়া হলো পশু হাসপাতালে। সব বন্ধ চারিদিকে। তবে খবর পেয়ে ছুটে এলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হক।

চিকিৎসক রাশেদ বলেন, লকডাউন আর সরকারি ছুটি মিলিয়ে আমাদের দপ্তর বন্ধ রয়েছে। কিন্তু জরুরি সেবা তো আর থেমে থাকে না। খবর পেলাম নিলমের পোষা বিড়ালটি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। দুদিন ধরে অসুস্থ সেটি। প্রিয় প্রাণীর অসহায় মুখ দেখে কাঁদছে নিলম। তাই আর বসে থাকতে পারলাম না। সকালেই খুলে দেওয়া হলো হাসপাতাল। এর আগেই নিলম ও তার বড় বোন এসে হাজির। ওরা কাঁদছিল। তাই দেখে দ্রুত বিড়াল ছানাকে নেওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে।  

তিনি বলেন, বিড়াল ছানাটির ডান বাহুতে আঘাত লেগেছিল। এতে ইনফেকশন হয়ে যায়। ফলে যন্ত্রণায় কাতর ছিল বিড়ালটি। অপারেশন করে পুঁজ বের করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হয়েছে। এখন প্রায় সুস্থ নিলমের প্রিয় বিড়াল।

নিলম হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাঁশবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী মো. আতিকুজ্জামান মুন্নার ছোট মেয়ে তিনি।  

কেঁদে কেঁদে নিলম বলেন, আমি বিড়ালটিকে সন্তানের মত লালন পালন করছি। ওর কষ্ট দেখে নিজেও কষ্ট পেয়েছি। দুদিন ধরে বিড়ালটি নিয়ে অনেক ধকল গেছে। ওর অসহায় মুখ দেখে আমাদের খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পশু চিকিৎসকের মানবিক গুনে মুগ্ধ আমি। এ জন্য চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার বিড়াল এখন সুস্থ আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।