পাবনা: অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৫ম শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রী আলপনা আক্তারের (১৩) বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে।
বুধবার সকালে ‘বুধবার ৫ম শ্রেণিপড়ুয়া আলপনার বিয়ে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন বাংলানিউজে প্রকাশিত হলে প্রশাসন দ্রুত এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর ফলে, এক কিশোরী ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা থেকে যেমন রক্ষা পেলো, তেমনি সুযোগ পেলো নিজেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার।
প্রসঙ্গত, বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের (২২) সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় আলপনার।
আলপনা উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের গরিব কৃষক আলেপ হোসেনের মেয়ে। সে চিরইল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় আলপনা।
এবিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাবনা ও চাটমোহরের সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে ওই বাল্যবিয়ের খবরটি জানতে পারি।
বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামানকে থানা পুলিশের সহায়তায় বিয়ের আয়োজনটি বন্ধের জন্য বলা হয়। পরে এসি (ল্যান্ড) পুলিশ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিরইল গ্রামে গিয়ে আলপনার বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বিয়ে বন্ধ রাখতে স্বজনদের বলা হয়েছে। ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে আলপনার বাবা আলেপ হোসেনের কাছ থেকে সাক্ষীসহ মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অগোচরে মেয়েকে যেন বিয়ে দিতে না পারেন, সে জন্য মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নজরদারির জন্য বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিয়ে বাড়িতে দু’জন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
যদিও বিয়ে বন্ধ হওয়ায় আলপনার স্বজনরা মোটেই খুশি নন; তবে এলাকার সচেতনরা প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে, বিয়ে বন্ধ হওয়ায় স্কুলছাত্রী আলপনার প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১২
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর