ঢাকা: ‘ব্লু মুন’ এর সরল বাংলা করলে দাঁড়ায় নীলচাঁদ। অবশ্য ব্লু মুনের একটা সংজ্ঞা আছে।
দ্বিতীয় পূর্ণিমা তথা ব্লু মুনের রাতে চাঁদ ঠিক নীল হয় না, থাকে স্বাভাবিক অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদের মতই, তবে এসময় খানিকটা নীলচে দেখায় চাঁদকে। অবশ্য এই একটুতেই চাঁদের অপরূপ দ্যুতি মোহনীয় হয়ে ওঠে অনেকটাই। এই অভূতপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হয় প্রায় পৌনে ৩ বছর। আর মাত্র দু’দিন পর আগামী ৩১ আগস্ট আকাশে দেখা যাবে জ্যোৎস্নাপ্রেমীদের প্রিয় নীলচাঁদ।
নীল চাঁদের জোছনা উপভোগে বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট এবং সাংস্কৃতিক জোট বিশেষ আয়োজন করেছে। ৩১ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা তীরের ৫ নম্বর ঘাটে বসবে নীলচাঁদ পর্যবেক্ষণের আসর।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাতভর চলবে চন্দ্র পর্যবেক্ষণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, চাঁদকে নিয়ে গান ও কবিতার আসর। চাঁদ নিয়ে নানান প্রশ্ন আলোচিত হবে ওই আসরে। চাঁদে প্রথম পদাপর্নকারী সদ্য প্রয়াত নিল আর্মস্ট্রং এর উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলীও নিবেদন করা হবে।
নীলচাঁদের আলোয় অবগাহন করার এ আয়োজনে অংশগ্রহনের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগ্রহীরা ০১৭১৬৩২২১২৮, ০১৯১২৯১৭৫৫৪ ও ০১৯২০৮৯৭৩৩০ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় তথ্য।
এছাড়া একটি ব্লগার গ্রুপও ব্লু মুন উদযাপনের লক্ষ্যে শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করবে (তবে মূলত দলটি যাচ্ছে ঢাকা থেকে)। জাদুকাটা নদী হয়ে মেঘালয় পাহাড়ের নিচে বারিকের টিলা নামের আদিবাসী গ্রামে যাবে তারা। সেখানে খাসিয়া, গারো, হাজংরা বাস করেন। ওই গ্রামের ‘খাসিয়া রাজা’র আতিথ্যে মেঘালয় পাহাড়ের ঢালে বসবে অপরূপ পূর্ণিমা বা ব্লু মুন দর্শনের আসর। দলটিতে টিটিএল (Thru The Lense) নামের সংগঠনের ফটোগ্রাফাররাও থাকবেন।
তবে যারা এসব আয়োজনে যুক্ত হতে পারছেন না, তারা যার যার নিজের মত শুক্রবার রাতে উপভোগ করে নিতে পারেন নীলচাঁদের মোহনীয় জ্যোৎস্না। কারণ এরপরের ব্লু মুনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও পৌনে ৩টি বছর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর [email protected]