কাজ নেই। তাই, পশ্চিমবঙ্গের সল্টলেকে অবস্থিত কারখানায় সপ্তাহে সবেতন চার দিন ছুটি ঘোষণা করেছে বহুজাতিক নোকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্ক।
এক বছরের উপরে উৎপাদন কার্যত বন্ধ। মাসিক এক কোটি টাকার বেশি লোকসানের বোঝা কমাতে এর আগে কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু করেছিল সংস্থা। তবে তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। ক্রমশ বেড়ে চলা ক্ষতির বহর সামলানোর পথ খুঁজলেও কর্মী ছাঁটাই বা কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পথে হাঁটছে না এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি।
সাধারণভাবে সপ্তাহে দু’দিন, শনিবার ও রোববার ছুটি থাকে। এ সপ্তাহে নোটিশ দিয়ে আরও দু’দিন বাড়তি ছুটি দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বর্তমান কাজের পরিস্থিতিতে তিন দিন কাজে যোগ দিলেই হবে। সে সূত্রে গত বুধবার ( ২৯। ০৮। ১২) ও বৃহস্পতিবার (৩০। ০৮। ১২) সবেতন ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শনিবার ও রোববারের মতো বাড়তি ছুটির দিনেও পাওয়া যাবে না নিখরচায় সংস্থার বাসে যাতায়াত ও ক্যান্টিনে খাওয়া।
কর্মীরা অবশ্য কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে যড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন। তাদের দাবি, এ ধরনের নোটিশ ঝোলানোর অর্থ, কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা। কিছু কর্মীর আশঙ্কা ভবিষ্যতে কাজের দিন আরও কমিয়ে আনা হলে সমস্যা বাড়বে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাননি সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কাজ করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হবে কি না।
প্রসঙ্গত, গত এক বছরের উপরে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছিলেন নকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্কের সন্টলেক সেক্টর ফাইভের এই কারখানার কর্মীরা। উৎপাদন প্রায় বন্ধ থাকায় ৮০ জন কর্মীর বিশেষ কোনও কাজই ছিল না। কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের সুযোগ দেওয়া হয় মে মাসে। কিন্তু সেই (গোল্ডেন হ্যান্ডিশেক) আহ্বানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কোনও কর্মী স্বেচ্ছাবসর নেননি।
তবে লোকসানের বোঝা বেড়ে চলার ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি কমানোর পথে এ ছাড়া অন্য পথ খুঁজে পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
সৌজন্য: দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১২
সম্পাদনা: একে