ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ব্রিটেনের সবচে ‘প্রবীণ’ ফ্রিজ

রবাব রসাঁ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৫১, অক্টোবর ২৭, ২০১০
ব্রিটেনের সবচে ‘প্রবীণ’ ফ্রিজ

বয়স তার আটান্ন বছর। এখনো থামবার কোনও নাম নেই।

ক্রমাগত ঠান্ডা করে চলছেন খাবার। আর বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে ‘তিনি’ই বয়সে সবচে ‘প্রবীণ’।

অক্সফোর্ডের পিয়ানো শিক্ষিকা ডরিস স্টগডেল। এখন বয়স ৮৯। অবসরে গিয়েছেন অনেক আগেই। তবে তার অনুচরটি এখনো আছে বহাল তবিয়তে। প্রয়োজন হয়নি কোনও ‘ডাক্তারের’। প্রয়োজন হয়নি কোনও ‘অস্ত্রোপ্রচার’।

ডরিস যখন তার পরিবার নিয়ে মালয়েশিয়া থাকতেন, তখন ছিল ১৯৫২ সাল। শখ করে কিনেছিলেন একটি ফ্রিজ। জেনারেল ইলেকট্রিক থেকে। এখনকার হিসেবে দাম পড়েছিল ১৩৫ পাউন্ড। তাদের সঙ্গে ‘তিনি’ ঘুরেছেন বিভিন্ন দেশ। কেননা, গৃহস্বামী তার প্রকৌশলী পেশার সুবাদে ঘুরেছেন প্রায় সারা পৃথিবী।

ডরিস তার স্বামী ভিভিয়ান ও তিন সন্তান ডেভিড (এখন ৫৯), ভেলেরি (৫৫) এবং অ্যানিকে (৫২) নিয়ে ব্রিটেনে ফিরে আসেন ১৯৫৯ সালে।

ডরিস বলেন, ‘ফ্রিজটির ভিতরে কোনও বাতি তো নেই। নেই ডিম রাখার কোনও থাক, বরফ বানানোর কোনও ব্যবস্থা। তাতে কী, বেশ চলছে ফ্রিজটি। অনেক সেবা দিয়েছে আমাদের। ’

ডরিসের ভাষায়, এখনকার ফ্রিজ তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রিজের নিশ্চয়তা দেয় মাত্র দু বছরের। ফ্রিজগুলো নষ্ট হলেই যেন তারা খুশি। ‘ভেবে দেখুন একটি যন্ত্র যদি ভালো উপকরণ দিয়ে বানানো যায় তাহলে নিশ্চিন্তে কেটে যাবে ৬০ বছর। ’

জেনারেল ইলেকট্রিক জেনে খুশি হবে এই ভাবনা থেকে ডরিসের মেয়ে ভেলেরি চিঠি লিখেছিলেন তাদের কাছে। জানিয়েছিলেন ফ্রিজটির কর্মক্ষমতার কথা।

ভেলেরি পরে জানতে পারেন, মাত্র দু-মাস আগে ব্রিটেনের পুরনো ফ্রিজ নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। জিতেছিল জেনারেল ইলেকট্রিকের তৈরি করা একটি ফ্রিজ। তবে তার বয়স ৫৬ বছর।

যা হোক, ভেলেরি খুশি এই ভেবে যে তাদের কাছে যে ফ্রিজটি আছে তা তার চেয়েও বয়সে বড়। ‘একে ত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই আসে না। এটি এখনো বেশ ভালো আছে। আমার শৈশব থেকে একে দেখে আসছি। ’

ভেলেরির এখন এসব ভাবতেও ভাল লাগে।

বিদেশি পত্রিকা অবলম্বনে

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৫৫, অক্টোবর ২৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।