ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার। ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫৬৮- রাজকুমারী মেরি স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের রানি হন।
১৫৭৫- ইস্টভান বাথোরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হন।
১৬৫৬- প্রথম কৃত্রিম মুক্তা তৈরি হয়।
১৮০৫- ফসিল জ্বালানি হিসেবে পাথুরে কয়লার তীব্র তাপ শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়।
১৯০১- বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাংক তার কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।
১৯১৮- যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নারীদের সর্বপ্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ।
১৯৪৬- আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জাতিসংঘের সহায়ক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৫৫- আলবেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জর্দান, লাওস, লিবিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও শ্রীলংকা জাতিসংঘে যোগ দেয়।

১৯৭১- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী দোসর, রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।  

বন্দি অবস্থায় বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন বধ্যভূমিতে হত্যা করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত মরদেহ রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের মরদেহ শনাক্তও করা যায়নি তখন। পাওয়াও যায়নি বহু মরদেহ। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালন হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

১৯৯৬- বাংলাদেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর।
১৯৯৯- কিরিবাতি, নাউরু ও টোঙ্গা জাতিসংঘে যোগ দেয়।

জন্ম
১৫৪৬- ড্যানিশ জোত্যির্বিদ ও রসায়নবিদ টাইকো ব্রাহে।  
১৬২৬- জাপানের সম্রাট গো-সুজাকো।
১৯১২- বাঙালি অসমীয়া সংগীতশিল্পী এবং সুরকার হেমাঙ্গ বিশ্বাস। মূলত লোকসংগীতকে কেন্দ্র করে গণসংগীত সৃষ্টিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
১৯৪৬- ব্রিটিশ ঐতিহাসিক অ্যান্টনি বিভোর।

মৃত্যু
১১৩৬- নরওয়ের সম্রাট চতুর্থ হেরাল্ড।
১৫৪২- স্কটল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জেমস।
১৭৯৯- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন।
১৯৭০- বাঙালি শিক্ষাবিদ ও কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক।
১৯৭১- বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তিনি মুক্তিবাহিনীর ৭ নম্বর সেক্টরের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। মহানন্দা নদীর তীরে শত্রুর প্রতিরক্ষা ভাঙার প্রচেষ্টার সময় তিনি শহীদ হন। তার সম্মানে ঢাকা সেনানিবাসের প্রধান ফটকের নাম ‘শহীদ জাহাঙ্গীর গেট’ নামকরণ করা হয়।
১৯৮৪- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক, ও সুরকার ধীর আলী মিয়া।
১৯৮৯- সোভিয়েত ইউনিয়নের পরমাণু বিজ্ঞানী এবং মানবাধিকার কর্মী আন্দ্রে শাখারভ।
১৯৯৯- ভাষা সৈনিক আবদুল লতিফ।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।