কাজী সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে লড়ার ঘোষণা দিলে ফুটবলপ্রেমীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। সালাউদ্দিন ফুটবলের যৌবন আবার ফিরিয়ে আনবেন।
সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম মহাতারকা। তার সেই ঝাঁকড়া চুলে ঢেউ খেলিয়ে ফুটবল নিয়ে ড্রিবল এখনো অনেকের স্মৃতিতে তাজা। কিন্তু কোথায় কী! সালাউদ্দিনের সেই জনপ্রিয়তায়ও এখন ভাটার টান। বাফুফের সভাপতি হিসেবে গত ১৪ বছরে তার অর্জন কী? ইতিহাস ঘাঁটলে রীতিমতো বিব্রত হতে হয়!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সম্প্রতি বিএসপিএর দেওয়া সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে প্রথম এবং সালাউদ্দিনকে দ্বিতীয় করায় তার গোস্বা হয়েছে। রীতিমতো বাফুফের সভা ডেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করিয়েছেন।
কাজী সালাউদ্দিন প্রথম দফায় বাফুফে সভাপতি হয়েছিলেন ২০০৮ সালে। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বারবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের ফিফার র্যাংকিং ছিল ১৫১। পরের বছর মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে বাফুফের মসনদে বসেন কাজী সালাউদ্দিন। ওই বছর থেকে শুধু পতনের দিকেই গেছে দেশের ফুটবল। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের র্যাংকিং হয় ১৬৮। একবার ১৮৩ নম্বরেও নেমে গিয়েছিল।
এর পরও ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা র্যাংকিং ছিল ১৩৮, আর খারাপ র্যাংকিং ছিল ১৮২ (২০১৬)। মজার ব্যাপার হলো, হুটহাট দু-একটা ম্যাচ জিতে বা অন্য দলের হারের কারণে বাংলাদেশের র্যাংকিংয়ে উন্নতি হতো। গুণগত মানের কারণে নয়। ২০১৭ সাল থেকে তো দেশের ফুটবলের দারিদ্র্য স্পষ্ট হয়ে যায় সকলের কাছে। ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৯৭ নম্বরে নেমে যায় বাংলাদেশ! এর পর থেকে চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা র্যাংকিং ছিল ১৮২। আর ডিসেম্বরে সর্বশেষ প্রকাশিত ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
এআর/এএইচএস