ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

ফুটবল

‘ফাইনাল ম্যাচ’ মনে করেই মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলবেন জামালরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
‘ফাইনাল ম্যাচ’ মনে করেই মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলবেন জামালরা

২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাক বাছাই ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম লেগের ম্যাচে মালদ্বীপে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। আগামীকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে দুই দল।  

আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এবং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। আগামী ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা জানালেন দু’জনই। ঘরের মাঠ বাড়তি প্রেরণা দিচ্ছে বাংলাদেশকে।  

কোচ কাবরেরা বলেন, ‘মালদ্বীপের বিপক্ষে তাদের মাঠে আমরা খেলে এসেছি। দেশে ফিরে আমরা অনুশীলনও করেছি। মালদ্বীপে পিছিয়ে পড়েও আমরা ড্র করেছি। আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই আগামী ম্যাচে খেলতে নামবো। দীর্ঘ সময় পর আমরা মালদ্বীপের মাঠে ড্র করেছি। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী ম্যাচে আমরা ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে মাঠে নামবো। ম্যাচে ভালো কিছু করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। ’

একই সুর দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আগামীকালের ম্যাচটা জাতীয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ম্যাচটাকে বলা যায় বাংলাদেশের জন্য বছরের ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। ’ 

মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেলেবিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। এই পর্বে আসতে পারলে অন্তত ৬ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেইসঙ্গে  বাড়বে এএফসি এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ।  

বাছাইপর্বে গেলে জামালদের কারা প্রতিপক্ষ হবে, সেটাও নিশ্চিত হয়ে আছে আগেই।  মালদ্বীপকে পেছনে ফেলতে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে আই গ্রুপে স্থান পাবে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া , ফিলিস্তিন এবং লেবানন। তবে পরের রাউন্ডে যেতে না পারলে প্রায় একবছর জাতীয় দলের তেমন কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচের সুযোগ থাকবে না। ফলে এই ম্যাচটা বাংলাদেশ দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আগামী ম্যাচে ঘরের মাঠ দর্শক দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে বলে বিশ্বাস করেন কাবরেরা। তিনি বলেন, ‘কিংস অ্যারেনার মাঠ মালদ্বীপের চাইতে উন্নত। এখানে আমাদের খেলাটা আরও ভালো হবে। চেনা মাঠ এবং দর্শকরা আমাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ’ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ মানেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ গ্যালারি। আগামী ম্যাচেও এমন কিছুর প্রত্যাশাই করছেন কোচ কাবরেরা।

ঘরের মাঠে মালদ্বীপ শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে দেশের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটা অন্যরকম হতে চলেছে বলে মনে করনে জামাল। তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপ ঘরের মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে আমাদের মাঠে আমরা শক্তিশালি দল হিসেবে মাঠে নামবো। মালদ্বীপে খেলার সময় আবহাওয়া আমাদের পক্ষে ছিল না। ভিন্ন আবহাওয়ার সঙ্গে তাদের মাঠও অন্যরকম ছিল। তারা মাঠে পানি দেয় না। তবে এখানে চিত্র ভিন্ন। ’

মালদ্বীপের বিপক্ষে ফিনিশিংয়ে দূর্বলতা ছিল বাংলাদেশের। নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের বাইরে ছিলেন তরুণ ফুটবলার মোরসালিন, অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তবে তাদের পরিবর্তে যে খেলোয়াড়দের দলে নেয়া হয়েছে তাদের উপরই আস্থা রেখেছেন কোচ কাবরেরা। নিষেধাজ্ঞা কাটলেও আগামী ম্যাচে বাংলাদেশ দলে নেই মোরসালিন।  

এ বিষয়ে জামাল বলেন, ‘মিতুল মারমা গোলরক্ষক হিসেবে শেষ ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। দারুণ কিছু সেভ করেছেন। ফাহিম ভালো খেলেছেন। গোলে করতে পারলে তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে। সে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল তবে দূর্ভাগ্যবশত গোলের দেখা পাননি। শাকিলও ভালো ফুটবল খেলেছেন। আমরা দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এআর/এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।