ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

ফুটবল

বদলে যাওয়া বাংলাদেশে আস্থা জামালের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
বদলে যাওয়া বাংলাদেশে আস্থা জামালের

সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের সেরা ফর্মে আছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। নিজেদের ছন্দ ধরে রেখে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।

 

আগামী ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচের আগে বাড়তি সময় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে অনুশীলন করতে পারবেন তারা। এটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জামাল। তিনি বলেন, ‘গত তিন দিন আমরা অনুশীলন করছি। তবে পুরো দল একসাথে অনুশীলন করতে পারিনি। গতকালই আমরা পুরো দল একসঙ্গে হয়েছি। অস্ট্রেলিয়ায় সবাই একসঙ্গে থাকবে অনুশীলন করবে এটা আমাদের জন্য ভালো। ’

‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের এই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। তবে আমরা নিজেদের খেলার প্রতি আত্মবিশ্বাসী। পরের ম্যাচে আমরা লেবাননের বিপক্ষে মাঠে নামবো। সেটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। লেবাননের বিপক্ষে পয়েন্ট পেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। ’ যোগ করেন জামাল।

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হেরেছিল। তবে সেই বাংলাদেশ দলের চাইতে বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবল দল অনেক উন্নত এবং গোছানো। এই দল অস্ট্রেলিয়ায় ভালো ফল করতে পারে বলে বিশ্বাস জামালের। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে দল খেলছে আর এবার যে দল খেলবে তা সম্পূর্ণ আলাদা। এখন আমরা যেভাবে বিশ্লেষণ করি, যেভাবে অনুশীলন করি তা সব কিছুই আগের চাইতে ভিন্ন। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ে আমাদের মূল কোচ ছিলেন না। সম্ভবত টিটু ভাইকে হঠাৎ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছি।  তবে এবার সবকিছু ভিন্ন। এবার আমরা জানি আমরা কি চাই এবং কীভাবে খেলতে হবে। এবারের দলটা আগেরবারের দলের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ’ 

প্রতিটি ম্যাচেই দলের ফরোয়ার্ডদের বড় ভূমিকা থাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দলের ফরোয়ার্ড লাইনের প্রতি জামালের প্রত্যাশা এবং পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শেষ পাঁচ ছয় মাসে ফরোয়ার্ডরা যেভাবে খেলেছে সেভাবেই খেলতে হবে। যারা ফরোয়ার্ড লাইনে আছে তারা সবাই ভালো খেলতেছে। তবে পুরো দলকেই নিজের জায়গা থেকে ভালো খেলতে হবে। ফরোয়ার্ডরা একা খেলতে পারবেন না। তাদের সাপোর্ট দিতে হবে মিডফিল্ড থেকে। মিডফিল্ডারদের সাপোর্ট করবে ডিফেন্স থেকে। ডিফেন্ডারদের পেছনে রয়েছেন গোলরক্ষক। সবাইকেই এক হয়ে ভালো খেলতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।