ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

ফুটবল

১৯ বছরের ক্যারিয়ারকে বিদায় বলছেন সুনীল ছেত্রী

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
১৯ বছরের ক্যারিয়ারকে বিদায় বলছেন সুনীল ছেত্রী

ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে সুনীল ছেত্রীর বন্ধন দড়ে যুগেরও বেশি সময় ধরে। এবার সেটি ছিন্ন হতে চলছে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই গৌরবময় পথচলা থামিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আগামী ৬ জুন কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচটিই হবে তার শেষ ম্যাচ।

ছেত্রীর পেশাদার ফুটবল শুরু হয় ২১ বছর আগে। দিল্লিতে এই যাত্রা শুরুর কিছুদিন পর তিনি যোগ দেন কলকাতার ক্লাব মোহনবাগানে। ক্লাবটির হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে আসেন নজরে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। বাকিটা শুধুই ইতিহাস।

ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন ছেত্রী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাইচুং ভুটিয়া খেলেছেন ৮৮ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল ৯৪টি। ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার আই এম ভিজায়ানের গোল ৩২টি। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফুটবলে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার ছেত্রি। তার থেকে বেশি গোল করা বাকি তিনজন হলেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (১২৮), ইরানের আলি দাইয়ি (১০৮) ও লিওনেল মেসি (১০৬)।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ছেত্রী। তিনি লিখেন, ‘গত ১৯ বছরের স্মৃতি ও অনুভূতি বলতে গেলে, দায়িত্বের চাপ ও দারুণ আনন্দের এক সমন্বয় ছিল। ব্যক্তিগতভাবে কখনোই ভাবিনি যে দেশের হয়ে এতগুলো ম্যাচ খেলেছি বা এই করেছি সেই করেছি, ভালো বা খারাপ করেছি। তবে এখন আমার এসব মনে হচ্ছে। গত এক-দেড়-দুই মাসে এসব ভাবনায় এনেছে, যা ধুবই অদ্ভুত। এরকম একটা সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলেই হয়তো এসব ব্যাপার ভাবনায় আসছিল। পরের ম্যাচটিই আমার শেষ ম্যাচ। ’

দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার গৌরব আর তাড়নাই এত বছর তাকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে জানালেন ছেত্রী। তিনি বলেন, ‘এরপর কি আমার কষ্ট লাগবে? অবশ্যই। সামনের প্রতিটি দিনই কি আমার খারাপ লাগবে? হ্যাঁ। এই ভ্রমণ আমি মিস করব, ২০ দিন ট্রেনিংয়ের পরই সব শেষ, এরকম অনুভুতি হচ্ছে কি না? হ্যাঁ, হচ্ছে। আমার ভেতরে যে শিশুটি আছে, সে তো দেশের হয়ে খেলার সুযোগে কখনোই থামতে চায় না। ’

এমন সিদ্ধান্ত নেয়া অবশ্য সহজ ছিল না ছেত্রীর জন্য। তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই আমার বিচরণ ছিল স্বপ্নের জগতে এবং দেশের হয়ে খেলতে পারার ধারেকাছে আর কিছু নেই। তো আমার ভেতরের সেই শিশুটি লড়াই চালিয়ে গেছে এং ভবিষ্যতেও ভেতরে ভেতরে লড়াইটা করবে। তবে একজন বোধসম্পন্ন, পরিণত ফুটবলার হিসেবে, আমার ভেতরের মানুষটি অনুভব করেছেন, সময়টা শেষ। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল না। ’

নিজের বিদায়ী ম্যাচটি জাতীয় দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের ধাপে যাওয়ার জন্য জয়টা জরুরি তাদের জন্য। চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে তারা টেবিলের দুইয়ে আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।