এক আবেগময় বার্তায় সদ্য প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
ভ্যাটিকানের ঘোষণায় জানানো হয়, সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন পোপ ফ্রান্সিস, যিনি জন্মেছিলেন হোর্হে মারিও বেরগোলিও নামে।
পোপের প্রয়াণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেয়ে যায় শোকবার্তায়। বিশ্বজুড়ে নানা ক্ষেত্রের মানুষ শ্রদ্ধা জানালেও মেসির বার্তাটি ছিল ব্যতিক্রমী, গভীর ভালোবাসা ও দেশীয় আত্মিকতার মিশেলে ভরা। ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক লেখেন, “একজন ভিন্নধর্মী পোপ—আপন, হৃদয়ের কাছের, আর্জেন্টাইন… শান্তিতে বিশ্রাম নিন পোপ ফ্রান্সিস। আপনি পৃথিবীটাকে একটু সুন্দর করে তুলেছিলেন। আমরা আপনাকে গভীরভাবে স্মরণে রাখব। ”
এই বার্তার সঙ্গে মেসি একটি স্মরণীয় ছবি শেয়ার করেন—২০১৩ সালের ১৩ আগস্টের, যখন আর্জেন্টিনা ও ইতালির জাতীয় দল রোমে এক প্রীতি ম্যাচের আগে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ভ্যাটিকানের ঐতিহাসিক সালা ক্লেমেন্তিনা হলে আয়োজিত সেই সাক্ষাত ছিল সম্মান, শ্রদ্ধা ও শান্তির এক অপূর্ব মিলন।
আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি দল পোপের জন্য উপহারস্বরূপ নিয়ে গিয়েছিল একটি রূপার ট্রে, পোপের প্রিয় ফুটবলার রেনে পোন্তোনির একটি ফ্রেম করা প্রতিকৃতি, দলের সদস্যদের স্বাক্ষরসংবলিত একটি জার্সি এবং আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের একটি অফিসিয়াল পতাকা। এর জবাবে পোপ ফ্রান্সিস তাঁদের উপহার দেন একটি জলপাই গাছ—শান্তি, সংহতি ও খেলাধুলার মাধ্যমে মানবিক ঐক্যের প্রতীক। দলের পক্ষে মেসিই সেই উপহার গ্রহণ করেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব যখন শোকাহত, তখন মেসির মতো একজন কিংবদন্তির এই শ্রদ্ধাঞ্জলি শুধুমাত্র এক ক্রীড়াবিদের কাছ থেকে নয়, বরং একজন আর্জেন্টাইন নাগরিকের পক্ষ থেকেও গভীর কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রকাশ।
এদিকে, ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসি এখন ব্যস্ত মৌসুম পার করছেন। ক্লাবটি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ফাইনালের দৌড়ে রয়েছে, সামনে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে এই ব্যস্ত সময়েও দেশের কৃতি সন্তানের বিদায়ে মেসির এমন হৃদয়ছোঁয়া বার্তা প্রমাণ করে—সত্যিকারের শ্রদ্ধা কখনো সময় বা স্থানের সীমায় আটকে থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এমএইচএম