ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন সৌদি আরবের জন্য বিনিয়োগের "বিশাল সম্ভাবনা" এনে দেবে।
সৌদি রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরাম ২০২৫-এ এ কথা বলেন তিনি।
ফোরামে ‘ফায়ারসাইড চ্যাট’-এ অংশ নিয়ে ইনফান্তিনো ফুটবলের বৈশ্বিক প্রভাব, বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং নারীদের ফুটবলের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এক মাসে ১০৪টি সুপার বোল!
ইনফান্তিনো বলেন, “বিশ্বকাপ এক মাসে ১০৪টি ম্যাচ, অর্থাৎ এক মাসে ১০৪টি সুপার বোল! এ প্রতিযোগিতা শুধু একটি দেশ বা অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বকেই বদলে দিতে পারে। ”
তিনি আরও বলেন, “ফুটবল এমন এক খেলা, যা পৃথিবীর ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ অনুসরণ করে। তাদের একত্রিত করার এটাই বড় সুযোগ। ফুটবল এমন কিছু যা মানুষকে আবেগ, অনুভূতি এবং একাত্মতায় যুক্ত করে। ”
ফুটবলের অর্থনীতি ও সৌদি আরবের সম্ভাবনা
ফিফা সভাপতির মতে, বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলের জিডিপি প্রায় ২৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার প্রায় ৭০ শতাং আসে ইউরোপ থেকে। অথচ ইউরোপের তুলনায় বিশ্বের অন্যান্য অংশের মোট জিডিপি অনেক বেশি।
তিনি বলেন, “যদি সৌদি আরব বা যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের মাত্র ২০ শতাংশ হারে ফুটবল খাতে অবদান রাখে, তাহলে খেলাটির অর্থনৈতিক প্রভাব অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে। ”
"ফুটবলে বিনিয়োগ করুন, এটিই হবে আপনার জীবনের সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ"—বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের এই বার্তাই দিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।
সৌদি আরবের ফুটবল যাত্রা
২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দলের অংশগ্রহণে, যার একক আয়োজক সৌদি আরব।
সৌদি আরব ইতিমধ্যে বিশ্ব ফুটবলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। দেশটি ২০২৩ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও ২০২৪ সালের ফিফা সিরিজের আয়োজক ছিল।
সামনে ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপও আয়োজন করবে তারা। এসব আয়োজনের মাধ্যমে তারা নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের আয়োজক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে।
নারীদের ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ
নারীদের ফুটবল নিয়েও আশাবাদী ইনফান্তিনো। তিনি জানান, “আমাদের লক্ষ্য, শুধুমাত্র নারীদের বিশ্বকাপ থেকেই ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা এবং তা পুরোপুরি নারীদের ফুটবলে পুনর্বিনিয়োগ করা। ”
আগামী নারীদের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ সালে ব্রাজিলে, এরপর ২০৩১ সালে উত্তর আমেরিকায়। ফিফা গত ৯ মে ঘোষণা দিয়েছে, নারীদের বিশ্বকাপেও ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ দল অংশ নেবে।
সৌদি আরব ২০২২ সালে নারীদের জাতীয় দল ও লীগ চালু করেছে, যা নারীদের খেলাধুলায় এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেন ফিফা সভাপতি।
এমএইচএম