প্রায় পাঁচ বছর পর আবারও ফুটবল ফিরছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জাতীয় স্টেডিয়ামে। দীর্ঘদিন সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ থাকা এই ভেন্যুতে আগামী ৪ ও ১০ জুন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
আগামীকাল ভুটানের বিপক্ষে একটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এই দুটি ম্যাচ ঘিরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নির্দেশনা দিয়েছে যে, ১ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত পুরো স্টেডিয়াম চত্বর—যেখানে অবস্থিত বিভিন্ন ফেডারেশন, দোকানপাট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান—সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
ফলে ছয় দিন ধরে কোনো যানবাহন চলাচল, অফিস কার্যক্রম বা দোকান খোলা রাখা যাবে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক সাজিয়া আফরিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে বর্তমানে প্রায় ১৩টি ক্রীড়া ফেডারেশনের অফিস রয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে অ্যাথলেটিক্স, সাইক্লিংসহ বেশ কয়েকটি। এছাড়া পেশাদার সাংবাদিকদের দুটি সংগঠনের অফিসও এই স্টেডিয়াম চত্বরে অবস্থিত।
হঠাৎ করে ছয় দিনের জন্য স্টেডিয়াম চত্বর বন্ধের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, এর আগে কোনো ম্যাচ উপলক্ষে এতদিন স্টেডিয়াম বন্ধ রাখা হয়নি। সাধারণত শুধু ম্যাচের দিনই সাময়িকভাবে স্টেডিয়াম বন্ধ রাখা হতো।
তাদের মতে, সামনে ঈদ-উল-আজহার মতো বড় উৎসব থাকায় ফেডারেশনগুলোর দৈনন্দিন কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হবে, যা নানা ধরনের ভোগান্তি ডেকে আনবে।
যদিও নির্দেশনা অনুযায়ী ২ জুন থেকেই স্টেডিয়াম চত্বর বন্ধ থাকার কথা ছিল, তবে আজ দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। পুরোদমে চালু ছিল স্টেডিয়ামের কার্যক্রম, খোলা ছিল দোকানপাট ও অফিস।
বাংলাদেশ দলের অনুশীলনও হয়েছে আজ বিকেলে, তবে সেটি ছিল ‘ক্লোজড ডোর’ অর্থাৎ দর্শক এবং গণমাধ্যম উপস্থিত না রেখে আয়োজন করা হয়। নিরাপত্তার কারণে মাঠমুখী সব প্রবেশপথ এবং জানালা বন্ধ রাখা হয়।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম মূলত ফুটবল এবং অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন যৌথভাবে ব্যবহার করে থাকে। ফেডারেশন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের অভাব প্রকাশ পায়। তারা মনে করছেন, খেলাধুলার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
এআর/আরইউ