ঢাকা, বুধবার, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১১ জুন ২০২৫, ১৪ জিলহজ ১৪৪৬

ফুটবল

সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উৎসবের আমেজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৫, জুন ১০, ২০২৫
সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উৎসবের আমেজ

সন্ধ্যা ৭টায় এএফসি এশিয়ান কাপের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ও প্রত্যাশা তুঙ্গে।

খেলা সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হলেও দর্শকরা দুপুর থেকেই মাঠে আসতে শুরু করেন এবং বিকেল ৫টার মধ্যেই গ্যালারি কানায় কানায় ভরে যায়। উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিকেলে সঙ্গীতশিল্পী জেফার রহমানের গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর তার সঙ্গে যোগ দেন হিপহপ গায়ক মুজা এবং সবশেষে স্টেজে আসেন সঞ্জয়। এই গরমে গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের স্বস্তি দিতেই বাফুফে এই কনসার্টের আয়োজন করেছে।

এর আগে ম্যাচ শুরুর ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা আগেই ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম অভিমুখে জনস্রোত নামে। স্টেডিয়ামের প্রবেশপথগুলোতে তখন থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে।

বাফুফের ঘোষণা ছিল দুপুর ২টায় দর্শকদের জন্য স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেওয়া হবে। এর আগেই হাজার হাজার দর্শক মিছিল সহকারে স্টেডিয়াম এলাকায় এসে হাজির হয়। দুপুর ২টার মধ্যেই ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের চারপাশে ভিড় বাড়তে থাকে। স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য দর্শকরা নির্ধারিত গেটের সামনে জড়ো হন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটায় দর্শকদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হয়।

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে মূল সড়কে ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখে। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে এই সমর্থক সংগঠনটি বেশ আলোচিত। তারা বেশ কয়েকদিন বাফুফে ভবনের প্রধান ফটকের সামনে টিকিটের দাবিতে অবস্থান করেছিল। সারা বছর ফুটবলকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়া এই সংগঠনটি বাফুফের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট পায়নি।

শুরুর দিকে দর্শকরা রোদে পুড়লেও বিকেল ৪টার পর হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি হয়। এতে যারা গ্যালারিতে প্রবেশের লাইনে ছিলেন, তারা পুরোপুরি ভিজে যান। তবে বৃষ্টির আগেই অনেক দর্শক গ্যালারিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের পর সাধারণ গ্যালারিতে শেড বসানো হয়েছে, ফলে গ্যালারিতে থাকা অনেক দর্শক বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

সমর্থকদের মতো নিরাপত্তা কর্মী ও টিকিট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও বৃষ্টিতে ভিজেছেন। প্রত্যেকেই বৃষ্টি বা রোদ উপেক্ষা করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছেন।

এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।